দেশব্যাপী শিশু-কিশোরদের জন্য নির্ধারিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি এক মাসেরও বেশি পিছিয়ে গেছে। আগের ঘোষণামতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতিতে বিলম্ব হওয়ায় নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
শনিবার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠে না থাকলে ক্যাম্পেইন পরিচালনা সম্ভব নয়। তাদের আন্দোলনের কারণে সময়মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যায়নি। তাই ১২ অক্টোবর থেকে কর্মসূচি শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং রোববার (১৭ আগস্ট) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি ইস্যু করা হবে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী মোট ১৮ কর্মদিবস টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে প্রথম ১০ কর্মদিবস বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। বাকি আট কর্মদিবস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত বা স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন ও কার্ড প্রদানের নিয়ম আগের মতোই বহাল থাকবে। জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়েও অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।
সরকারি হিসাবে, ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর এ টিকা পাবে। এক ডোজ ইনজেকটেবল এই টিকা শিশুদের তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় টিকাগুলো দেশে আনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ক্যাম্পেইন শুরু না হলে অনেক শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার শিশুদের মধ্যে প্রতি লাখে এক হাজারেরও বেশি টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার হার রয়েছে—যা বিশ্বের সর্বোচ্চ হারের অন্যতম। তাই নির্ধারিত সময়ে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা।
ইএইচ