শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংকের অপারগতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম

শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিতে অপারগতা জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান নড়বড়ে অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। দেশটি সেই পথে না হাঁটলে তাদেরকে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। খবর এএফপির।

নজিরবিহীন মন্দার মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ কয়েক মাস ধরে খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকা, ব্যাপক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জীবনযাপন করছে।

এতে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে এ মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালানোর পরে পদত্যাগ করেন।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা ঘোষণা দিয়ে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। এরপর দেশটি বৈশ্বিক বিভিন্ন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাংকের কাছেও ঋণ আবেদন করেছিল দেশটি।

জবাবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকট নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। কিন্তু দেশটির সরকার অর্থনীতির অচলাবস্থা নিরসনের জন্য এখন যেসব সংস্কার আনা জরুরি তা কার্যকরের পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের ঋণ দেওয়া হবে না।

একটি যথাযথ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো না হওয়া পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়নের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, আরব সাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে গভীর কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে আগ্রহী না হলে এসব ঋণ শ্রীলঙ্কার কোনো উপকারে আসবে না। সংকটের জন্য দায়ী মূল কাঠামোগত বিষয় মোকাবিলার কথা ভেবেই সংস্কার আনতে হবে।

এদিকে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গেও শ্রীলঙ্কা সরকারের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার দু‍‍`পক্ষ আলোচনা শুরু করেছে। তবে আইএমএফ‍‍`র কাছ থেকে শ্রীলঙ্কার ঋণ পেতে কয়েক মাস অথবা বছর লেগে যেতে পারে।

বিগত কয়েক মাস ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। কভিড-১৯ ও মহামারি-পরবর্তী সরকারের ভুল পদক্ষেপে পর্যটন ব্যবসা ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর অর্থনীতির এই দেশটিতে সংকট ডেকে এনেছে।


আমারসংবাদ/টিএইচ