আরও ১০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো উ. কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০১:৪০ পিএম

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল থেকে অন্তত ১০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২ নভেম্বর) দেশটির নেতা কিম জং উনের শাসনকালে দৈনিক সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা এটি। 

এর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার নটিক্যাল সীমানা অতিক্রম করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া অংশীদারদের সঙ্গে সামরিক মহড়া বন্ধ না করলে উত্তর কোরিয়া ‘শক্তিশালী পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পর এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) বলেছে, প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছাকাছি এসে পড়েছে। এ ছাড়া জেসিএস উত্তর কোরিয়ার ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

দক্ষিণ কোরিয়া এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সিউল এখন হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে ১৫৬ জন নিহতের ঘটনায় শোকাহত। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও তাদের সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়েছে।

বুধবার (০২ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার উলেং কাউন্টিতে একটি বিমান হামলার অ্যালার্ম বাজানো হয়, বলছে ওয়াইটিএন সম্প্রচার মাধ্যম। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি সতর্কতা ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত করেনি।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, উত্তরের ছোড়া স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের কাছে পড়ে। এ নিয়ে দ্বীপটিতে আকাশপথে হামলার সতর্কতা জারি করা হয়।

গত সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বৃহত্তম যৌথ যুদ্ধবিমান মহড়া ‘ভিজিল্যান্ট স্ট্রম’ শুরু করে। দেশ দুইটির এ মহড়ায় উভয়পক্ষের প্রায় ২৪০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিচ্ছে। এ নিয়ে ব্যাপক খেপেছে উত্তর কোরিয়া। দিয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা।

উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ যুদ্ধবিমান মহড়া বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যদি গভীর সামরিক উসকানি অব্যাহত রাখে তাহলে উত্তর কোরিয়া আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা নেবে। 

টিএইচ