যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক হ্রাস, ভারতের পোশাক বাজারে ধস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এই ঘোষণার পরই শুক্রবার ভারতের পোশাক খাতে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।

গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান যে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে পরবর্তীতে আলোচনা ও কূটনৈতিক সমঝোতার পর সেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

অন্যদিকে, ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ১ আগস্ট থেকেই কার্যকর হয়েছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এ মার্কেট দখলের চেষ্টা চালিয়ে এলেও উৎপাদন খরচ, শ্রম সহজলভ্যতা ও প্রযুক্তিগত সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। তবে গত মাসে যখন ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, তখন ভারতের বাজার সাময়িকভাবে বাড়তি সুবিধা পায় এবং দেশটির পোশাকখাতের শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু নতুন শুল্ক ঘোষণা আসার পর পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে।

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক হ্রাসের ঘোষণার পর ভারতের বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ব্যাপক পতন দেখা যায়। এর মধ্যে কেপিআর মিলসের শেয়ার ৫ শতাংশ, ওয়েলসপুন লিভিংয়ের ২ শতাংশ, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের ০.৮ শতাংশ, পিয়ার্ল গ্লোবালের ৩.৭ শতাংশ, গোকূলদাস এক্সপোর্টের ২.৬ শতাংশ, কিটেক্স গার্মেন্টসের ৩.২১ শতাংশ এবং বর্ধমান টেক্সটাইলের শেয়ার ২.৮ শতাংশ কমে যায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গেও একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছে। এর আওতায় পাকিস্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ২৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৯ শতাংশে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে তেল অনুসন্ধানে যৌথ অংশীদারিত্বে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুল্ক হ্রাসের সাম্প্রতিক এই উদ্যোগের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের জন্য আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে। দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত বেশিরভাগ দেশই এতে সুবিধাভোগী হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে রয়ে গেছে ভারত, যার ওপর পূর্বঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।

ইএইচ