পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী হামলা, নিহত বেড়ে ৭২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০৯:১৪ এএম

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত দেড়শ জন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা অর্থাৎ জোহরের নামাজের সময় ঐ বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মুসল্লিতে ঠাসা ছিল।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।  নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জিও নিউজ বলছে, আত্মঘাতী হামলাকারী নামাজের সম্মুখ সারিতে ছিল। তিনি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। দেশটির পুলিশ বলছে, হামলায় মসজিদের ইমামও নিহত হয়েছেন।

ইতোমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই- তালেবান পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন হামলার টার্গেট ছিল সম্ভবত পুলিশ কারণ নিহতদের সিংহভাগই ছিল ঐ বাহিনীর সদস্য।

পেশোয়ার নগর পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, বিষ্ফোরণের সময় ঐ এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। পেশোয়ারের লেডি রেডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান এ ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। প্রদেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে মঙ্গলবার।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেশওয়ারে যান সেদিনই। নগরীর লেডি রিডিং হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই হামলার পেছনের লোকদের সংগে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেন, সন্ত্রাসের এই হুমকি মোকাবেলায় জাতি ঐক্যবদ্ধ।

টিএইচ