জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যত যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে আগেই পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল চীন। এবার আরও জোরালোভাবে জানাল—সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশেই থাকবে বেইজিং।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকটি হয় পিপিপির কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে।
বৈঠকে ঝাও শিরেন বলেন, “সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন।” তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়; পাকিস্তান ও ভারতের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক পথেই শান্তির পথ খোঁজা।”
চীনা কনসাল জেনারেল আরও বলেন, “চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ও গভীর। এই সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। চীন পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে—বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে।”
আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। ঝাও বলেন, “চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। প্রতিটি চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে সমান ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখায়।”
বৈঠকের শেষদিকে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন। বৈঠকের উপসংহারে ঝাও বলেন, “পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী নয়, চীনের জন্য এক পরীক্ষিত বন্ধু। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কৌশলগত সহযোগিতাই আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি।”
ইএইচ