কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার চলছে। দুই দেশই যুদ্ধ পরিস্থিতে মধ্যে রয়েছে। এই ঘটনায় দুই দেশের তারকারা কথা বলেছেন নিজ নিজ দেশের হয়ে। ভারতীয়রা দায়ী করছেন সরাসরি পাকিস্তানকে। যা মানতে পারেননি পাক ক্রিকেট অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। স্থানীয় এক টেলিভিশনে ভারতীয় সেনা এবং তাদের মানসিকতা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
শহিদ আফ্রিদি বলেন, ভারতে একটা বাজি ফাটলেও এর দায় আসে পাকিস্তানের ওপর। আপনাদের ৮ লাখ সেনা মোতায়েন করা আছে কাশ্মীরে, তারপরেও এমন ঘটনা ঘটে- এর মানে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা নেই। আপনি পুরোপুরি অচল।
আফ্রিদির এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী (বিএসএফ) দাবি করে, ২০০৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনন্তনাগে শাকিব নামে হিজবুল মুজাহিদিনের একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হত্যা করে। যার সম্পর্ক ছিল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকে বাহিনীটি জানতে পারেন নিহত শাকিব শহিদ আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিল।
এদিকে এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আফ্রিদির কাজিন একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। যাকে হত্যা করেছিল ভারত সেনাবাহিনী, এই জন্য আফ্রিদি ভারতবিরোধী এবং উগ্রপন্থীদের প্রতি দরদ দেখায়।
ভারতের আরেকটি গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আফ্রিদির কাজিন শাকিবকে ২০০৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনন্তনাগে এক এনকাউন্টারে হত্যা করেছিল বিএসএফ।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের আফ্রিদিসহ অন্য জনজাতির যোদ্ধাদের পাঠিয়ে কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করেছিল। এই যুদ্ধবাজদের অর্থ এবং নারীর লালসা দেওয়া হতো। কাশ্মীরে লুটপাট এবং মহিলাদের হেনস্তার ঘটনার বহু ইতিহাস রয়েছে। এই আক্রমণের পর রাজা হরি সিং ভারত সরকারের সাহায্য চায় এবং ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে সেনা মোতায়েন করে।
এছাড়া ভারতীয় নেটিজেনরা দাবি করছেন, শহিদ আফ্রিদি কাশ্মীর নিয়ে বারবার মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং পারিবারিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
বিআরইউ