যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। 

শনিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, তার নতুন দলের নাম "আমেরিকা পার্টি", যা দেশটির প্রচলিত দুইদলীয় কাঠামো—রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়ানোর পরই মাস্ক এই রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

মাস্ক তার পোস্টে বলেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যে বাস করছি, যেখানে অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলা হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’র জন্ম হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই যাত্রা।”

তবে এখনো স্পষ্ট নয়, দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছে কিনা। মাস্ক নিজেও দলের কাঠামো বা নেতৃত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থেকেই মাস্কের রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা শুরু হয়। বিবিসি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে মাস্ক প্রথমবার নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের ইঙ্গিত দেন।

বিরোধের সময় মাস্ক 'এক্স'-এ এক জরিপ চালান, যেখানে তিনি ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কিনা। সেই জরিপের ফল উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম বড় অর্থদাতা। তিনি ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি নতুন বিভাগ—ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিভাগের কাজ ছিল সরকারি বাজেটে অপচয়ের উৎস শনাক্ত করে তা কমানো।

তবে চলতি বছরের মে মাসে মাস্ক প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ান এবং ট্রাম্পের “বিগ বিউটিফুল বিল” নামে পরিচিত বাজেট পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা শুরু করেন।

এই আইনে রয়েছে ব্যাপক ব্যয় এবং কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি, যার ফলে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইএইচ