ট্রেইনি কনস্টেবল নিয়োগ

দালালের খপ্পরে না পড়ার আহ্বান নোয়াখালী এসপির

নোয়াখালী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে যোগদানে আগ্রহী প্রার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কেউ দালালদের খপ্পরে পড়ে কোন অর্থ না খোয়ানোর অনুরোধ করলেন নোয়াখালীর সেবাবান্ধব পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম।

এক প্রেস বার্তায় এসপি  বলেন, আগামী ৮ মার্চ   নোয়াখালী জেলায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ করা হবে। যোগদানে আগ্রহী প্রার্থী কিংবা তাদের  অভিভাবকগণ বিভিন্ন ভাবে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে তাদের সাথে আর্থিক লেনদেনে জড়িত হয়। এবার যাতে কেউ তদবির বাজদের দ্বারস্থ কিংবা প্রতারকদের সাথে আর্থিক লেনদেনে জড়িত না সে ব্যাপারে সকল কে সতর্ক বিশেষ অনুরোধ করেন  পুলিশ সুপার। এবার অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।  

এছাড়াও পুলিশ সুপার  নোয়াখালী জেলায় যোগদান করেই পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে  সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম। তিনি গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে নোয়াখালী জেলায় নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেই জনসাধারণের সেবার জন্য তার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। সেবা প্রার্থীরা বিনা বাধায় অফিসে ঢুকতে পারে এবং পুলিশ সুপার সেবাপ্রার্থীর  অভিযোগের বিষয়টি শোনার জন্য তার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কাছে এসে অভিযোগটি শোনার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে  থানার ওসিকে ফোন দিয়ে  অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বলে  জানিয়েছেন অনেক সেবা গ্রহীতা। 

সোনাইমুড়ীর এক নারী সেবা প্রার্থী বলেন, সত্যি বলতে এখানে আসার আগে এমন সেবা পাবো সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। 

জেলায় কর্মরত এক সাংবাদিক বলেন, নোয়াখালীতে এ পদে বেশ কয়েকজন পুলিশ সুপার দেখেছি। কিন্তু পেশাগতভাবে তাদের সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছে থাকলেও নানান জটিলতায় সহজে দেখা করা যেত না। বিষয়টি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে আমার কাছে দৃষ্টিকটু লাগতো। সম্প্রতি এ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করা মোঃ আসাদুজ্জামানের জনবান্ধব ‘তার দরজা খোলা সেবা’ নীতিতে আমি মুগ্ধ।

জেলার পুলিশ লাইনে দীর্ঘদিন কর্মরত পুলিশ অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের নবাগত পুলিশ সুপার একজন চৌকস ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে সর্বমহলে প্রশংসিত। 

এই সেবা নীতি অব্যাহত থাকার বিষয়ে প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এসপি  বলেন, আপনারা সেবা প্রত্যাশীরা যে কোন  প্রয়োজনে ফোন দিলে আমি সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। 

জানা গেছে, এসপি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান  শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায় তার বাড়ি।   তিনি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে বিএসসি শেষ করেন। তিনি ২৫তম বিসিএসের (পুলিশ ক্যাডারে) পর ২০০৬ সালে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন।

বিআরইউ