অর্থ পাচার

দুদক কি ঘুমাচ্ছে, প্রশ্ন হাইকোর্টের

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০১:৩৩ পিএম

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ; পাচারকারীদের অর্থ না ফিরিয়ে ঘুমাচ্ছে দুদক এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় বিএফআইইউ। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিএফআইইউকে ৩ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ইউনিটের প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস হলফনামার মাধ্যমে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করেন। এই দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চায়না। এই দেশগুলোর সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স বা এমএলএ চুক্তির কথা বলা হয় হলফনামায়।

কোন কোন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে-তা জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএফআইইউকে অনুরোধ করে। 

পরে বিএফআইইউ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির যৌক্তিকতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানায়। এর মধ্য দিয়ে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে এই দেশগুলোতে অর্থ পাচার হতে পারে।

গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। 

এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চান। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগস্ট বিষয়টি আদালতে ওঠে।

টিএইচ