যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম

রাজধানীর খিলক্ষেতে যৌতুকের জন্য দুলালী বেগম (২০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা মামলায় তার স্বামী হাবিল বাদশাকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালত মামলার রায় ঘোষণায় এ আদেশ দেন। এছাড়া আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী রওশন আরা বেগমের মেয়ে দুলালী বেগমের সঙ্গে ২০১৫ সালে আসামি হাবিল বাদশার বিয়ে হয়। এরপর বাদী, তার ছেলে সুমন (১৪) ও জামাই মেয়েকে নিয়ে খিলক্ষেতে বসবাস করে আসছিল। বাদী ও তার মেয়ে দুলালী অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। হাবিল রিক্সা চালতো। বিয়ের কিছুদিন পর আসামি হাবিল অটোরিক্সা কেনার জন্য দুলালীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে দিতে না পারায় দুলালীর সাথে প্রায় ঝগড়া বিবাদসহ শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো হাবিল।

এরপর ২০১৭ সালের ২ আগস্ট সকালে বাদী রওশন আরা ও তার ছেলে কাজে বেরিয়ে যায়। এই সুযোগে ঝগড়ার জের ধরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুলালীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে হাবিল। কিন্তু ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জন্য প্রথমে আসামি হাবিল বাদীসহ দুলালীর পরিবারকে জানায় স্ট্রোক করে মারা গেছে। দুলালীকে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে লাশ নিয়ে দাফন করতে বলেন হাবিল। পরে লাশ শেরপুরে নিয়ে গোসল করানোর সময় দুলালীর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে স্থানীয় লোকজন আসামি হাবিলকে জেরা করতে থাকে। এতে সে একেক সময় একেক কথাবার্তা বলে। পরে আসামি হাবিল স্বীকার করে, সকাল ৬ টা থেকে সাড়ে ৬ টার মধ্যে দুলালীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ আগস্ট দুলালীর মা রওশন আরা বেগম খিলক্ষেত থানায় হাবিল বাদশার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সহিদুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০ জনের মধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আরএস