২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে তাঁর তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বলেন, “দুদকের দায়ের করা মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন পরবর্তী শুনানির জন্য মুলতবি রাখেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আজ আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।
এছাড়াও আসামি করা হয়েছে— জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো. গোলাম আজম, নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক এবং সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক।
এছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং পরিচালক মো. আবু তালহাকে।
ইএইচ