মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র। বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গত করলেও এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে আমাদের মতো দেশগুলোকে। অথচ বৈশ্বিক নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ।”
মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হল রুমে অনুষ্ঠিত “দুধ ও গবাদি পশু পালন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পরিমাপ—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) হস্তক্ষেপের প্রভাব” শীর্ষক এক যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “উন্নত দেশগুলো বারবার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের নিজেদের সক্ষমতা দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাতে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন ইস্যুতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে।”
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর সাথে নির্গত মিথেন গ্যাস কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে।”
তিনি মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, FAO-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি (Jiaoqun Shi) এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ ও টাস্ক টিম লিডার আমাদু বা (Amadou Ba)। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলডিডিপি-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন এবং প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সাফল্যের সূচক ও অর্জিত ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।
আরএস