নাহিদ ইসলাম

চাঁদাবাজদের কবল থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করব

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে কুপিয়ে এবং মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ড এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এর মাঝেই ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা করার কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছিলাম, এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা; যে ব্যবস্থা মাফিয়া তৈরি করে, যে ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়, সন্ত্রাসীদের তৈরি করে, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, পুলিশ বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে রূপান্তর করে—সেই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে হবে। সেই ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে নতুন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কিন্তু নানাভাবে ৫ আগস্ট থেকেই ষড়যন্ত্র হয়েছে এই ছাত্র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। 

তার ভাষ্য, আমরা দেখেছিলাম, ৫ আগস্ট কারা ক্যান্টনমেন্ট গিয়েছিল, অভ্যুত্থানের নেতাদের বাদ দিয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা করেছিল। এই ছাত্রনেতৃত্ব অনেক চেষ্টা করেছে, এই সরকারকে, এই সময়ের রাজনীতিকে গণঅভ্যুত্থানের দিকে আনতে। নানা পক্ষ, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে থাকলেও নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে নেই। তারা পুরোনো বন্দোবস্তের পক্ষে আছে, পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখার জন্য সব কিছু করে যাচ্ছে।

চাঁদাবাজি নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা ঢাকায় দেখলাম...চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। জনগণকে আজ বলতে হচ্ছে, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র নাগরিকদের আজ বলতে হচ্ছে, আপনাদের আবারও প্রস্তুতি নিতে হবে, আবারও মাঠে নামতে হবে, বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। শহীদরা এই দায়িত্ব আমাদের দিয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীদের নিয়ে নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বলবো, আগের আমলে আমরা দেখেছি গুটি কয়েক ব্যবসায়ী মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। সেই মাফিয়াদেরকে এখন আবার একটি রাজনৈতিক দল সমর্থন দিচ্ছে, প্রশ্রয় দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আর অন্যদিকে আমাদের ক্ষুদ্র-মাঝারি, খেটে খাওয়া ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সব দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীদের আমরা রক্ষা করব। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিকে আমরা চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা করব।

বিআরইউ