ইসিকে ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইইউ

বিশেষ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০২:২৮ পিএম

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবার্চন কমিশনকে চার মিলিয়ন ইউরো অর্থ সহায়তা দিতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। 

মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন— বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের- ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা বিষয়ক টিম লিডার এনরিকো লোরেনজন, ইউরোপিয়ান পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পরামর্শক মাইকেল লিডাওয়ার, ইপিডির সিটিজেন ইলেকশন অবজারভার্স কম্পোনেন্ট প্রকল্প পরিচালক আনাস উইবাওয়া এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজা নাডার।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনকে নানা ধরনের সহায়তার বিষয় তুলে ধরে মাইকেল মিলার জানান,  তারা সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়া, যেমন কার্যকর পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, আমাদের বাস্তবায়নকারী অংশীদার— নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তারা এখানে থাকবেন যাতে আসন্ন নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোটার এডুকেশনও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশ এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।

ইইউ’র রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা, দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা; বাংলাদেশে আমাদের কাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে একটি অগ্রাধিকারমূলক দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে, বিশেষত সম্ভাব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য।

তিনি জানান, সামনের সময়ে এ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। এটি একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক ছিল

এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাজ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন আলোচনা করছি বাস্তবিক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। আর এজন্যই আমরা এখানে এসেছি আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে। কারণ আমরা চাই আপনাদের নির্বাচন যেন সত্যিই গ্রহণযোগ্য হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয়, অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।

এসময় আগামী মাসে ইইউ’র প্রাক নির্বাচনি পযবেক্ষক দল আসবে বলে জানিয়ে মিলার বলেন, আগামী মাসে প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। এটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন নয়।  বরং বিশেষজ্ঞদের কাজ হবে যাচাই করা, যে এখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কিনা। আমরা সক্ষমতা ও বাস্তবতা যাচাই করছি।

অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি— ভোটার এডুকেশন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোকে মাঠপর্যায়ে কাজের সক্ষমতা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা এবং ছোট ছোট নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করা, পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

ইএইচ