পদ্মা সেতু উদ্বোধন

সরকারের সফলতায় জামায়াত আমিরের উচ্ছ্বাস

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২, ০১:৩৩ এএম

দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। শনিবার হয়ে গেছে উদ্বোধন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সারা দুনিয়ায়। বাঙালি জাতির বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে উচ্ছ্বাস মানবতা বিরোধী অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেও। বিজয়ের আনন্দে উল্লসিত গোটা জাতির সঙ্গে উল্লাসের কথা জানান দলটির আমির ডা.শফিকুর রহমান। 

শনিবার (২৫ জুন) ভেরিফাইড ফেসুক পেজে .শফিকুর রহমান বলেন, যুগ-যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে যাতায়াত ও যোগাযোগে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে আসছিলেন। এমনকি মাঝে-মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে জরুরী চিকিৎসা নিতে আসা লোকদের কারো কারো মৃত্যু ফেরীঘাটেই হয়েছে। চিন্তা করলে যা খুবই হৃদয় বিদারক। আজ তাদের সে কষ্টের অনেকখানিই অবসান হলো। মহান রবের দরবারে এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। 

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যার যেখানে যতটুকু অবদান কিংবা ভালো-মন্দ, তার বিচারের ভার জনগণের ওপর। পৃথিবীতে যা কিছুই কল্যাণকর হয়, তার জন্য মহান প্রভুর শুকরিয়া আদায় করাই হচ্ছে মানুষের দায়িত্ব। আর মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত মানুষ বিনয়ী হয়। বিনয় হলো- ভালো মানুষের পোশাক। 

মহান আল্লাহ্‌র দরবারে দো’য়া করি- জনগণের ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক ও কারিগরি অংশগ্রহণে যে সেতু তৈরি হলো, তা জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হোক। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান, যানবাহনে উচ্চ হারের টোল যেন তাদের পুনর্বিবেচনায় স্থান পায়।

হঠাৎ সরকারের এমন প্রশংসা করায় দলটির নেতা কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক সচেতন মহল অনেক হিসেব নিকেশও দেখছেন। 

জামায়াতের আমিরের এমন মন্তব্যের পর শামসুন্নাহার নাহার নামের এক নারী বলেন, আপনার (জামায়াতের আমিরের) চারিত্রিক উৎকর্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায় আপনার কাজে। যেখানে একশ্রেণীর মানুষ ভালো কি মন্দ সবটাতেই রাজনীতির গন্ধ পায় প্রতিটি ভাঁজে।সেখানে জাতির একজন কল্যাণকামী হিসেবে আপনি আমাদের গর্ব।

আমি প্রশংসা করে আপনাকে খাটো করবো না ।আমাদের গর্ব যে আমরা আপনার মত একজন রাহবার পেয়েছি ।আল্লাহ আপনাকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুক ।জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমরা যেন দল মত নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানবতার পাশে সব সময় থাকতে পারি এই দোয়াই করি।


আব্বাস আলী খান নামের আরেকজন বলছেন, "আ'লীগ সরকারের এ বিরাট অর্জনে জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি শোকরানা মাহফিল আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।"

জিয়া আল হায়দার বলেন,সরাসরি ধন্যবাদ দিলেই পারতেন। এবি পার্টির প্রতিক্রিয়া আমীরে জামাতের চেয়ে ভালো ছিল। ডা শফিক সাহেব ধর্ম দিয়ে একটি রাজনৈতিক সেতুর কাউন্টার দিলেন! তাও আত্মঘাতী!

মু. সুহাদ আলম বলেন,শহীদ নেতৃবৃন্দ যেমন তাদের খুনিকে ক্ষমাকরে দিয়েছিলেন। আমাদের মনে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের প্রতি রাগ, ঘৃণা, ক্ষোভ থাকলেও আমীরে জামায়াতের উদারতা ও ক্ষমার মানসিকতায় মুগ্ধ হয়েছি। একটা রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াতের আমীরের ন্যায় উদার মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করা চাই। টুস করে ফেলে দেয়া, নদীতে চুবানো ইত্যাদি গালমন্দ থেকে আল্লাহ তাঁকে হেদায়েত দিক। তাঁর সৎ সাহস ও শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সর্বদা সত্য বের হোক তার মুখ দিয়ে, হিংসা বিতাড়িত হোক কালো হৃদয়টা থেকে।

হোসাইন মাসুম নামের আরেকজন বলেন, মনে হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী আগামীতে কোনো রাজনৈতিক হিসেব কষছেন। তাই আগ থেকেই রাজনৈতিক টোপ দিয়ে রাখছেন।

ইএফ