নির্বাচন এখন হাসি-তামাশা,বানিজ্য পরিণত: রিজভী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন জনগন তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভার পরবর্তী মেয়াদের জন্য কাদের হাতে অর্পণ করতে চায় তা‍‍` সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের আলোকে নির্ধারণ করে দেয়। সেই নির্বাচনকে এখন হাসি-তামাশা, বানিজ্য ও প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আর জনপ্রতিনিধিত্ব এখন শেখ হাসিনার দান-দক্ষিনা, খয়রাত, বিলি-বন্টন, ভাগ-বাটোয়ারা, উপহার-করুণায় পরিণত হয়েছে। আজ বিকেলে অনলাইনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণের সমস্ত মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আজ অত্যাচারী শাসকের পদতলে রাখা হয়েছে। কেবল জনগণই নয়, গোটা দেশকে জিম্মী করেছে মাফিয়াচক্র। তিনি বলেন, ২০১৪ বিনা ভোটে অটোপাসের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট ডাকাতির পর এবার ইলেকশন ভাঁওতাবাজীর নামে সিলেকশন করা হচ্ছে। ৭ জানুয়ারী ভোটের নামে রাস্ট্রের শত শত কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করা হবে অত্যন্ত নিখুঁত ধুর্ততায়, জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে।নির্বাচন এলে যে আনন্দ-উৎসবের জোয়ার নামে জনপদগুলোতে তার পরিবর্তে ভয়ার্ত পরিবেশ বিরাজ করছে সাবাদেশে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ছাড়া গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ। বহু গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। মনোনয়ন নিয়ে ইতিমধ্যে খুনোখুনি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ । নির্বাচনকে শেখ হাসিনা উৎসবের বদলে ভয়, আতংক ও শোকে পরিণত করেছেন।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করতে দুই বছরের নীচে কারোর সাজা হচ্ছে না। কারন দুই বছরের সাজা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতিবন্ধক। এ সব কারাদন্ড প্রদান করা হচ্ছে ‘আজব আদালত’থেকে-যেখানে মৃত নেতা, গুম হওয়া নেতাদেরও রেহাই নেই। মৃতদেরও সাজা দিচ্ছেন শেখ হাসিনার পুতুল আদালত। গত দেড় মাসে বিএনপির ৫৮২ জন নেতাকর্মীকে প্রহসনের বিচারে দণ্ডিত ঘোষনা করা হয়েছেন। আসামিদের অনুপস্থিতিতে চার্জ গ্রহণ ও কারাগারে বন্দি অবস্থায় আসামিকে সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শোনার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে দণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে। সমস্ত মামলার বাদী পুলিশ। রাত-দিন আদালত খুলে আওয়ামী দলদাসরাই সাক্ষী-তারাই বিচারক। এ পর্যন্ত ২৭ টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রায় ৪১৯ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরএস