বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কারের তালিকা তৈরি হচ্ছে, যার ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, আমরাও সংস্কার চাই। কিন্তু এমনভাবে সংস্কারকে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে মনে হয় বিএনপি যেন সংস্কারবিরোধী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপির সংগ্রাম ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। আমরা যে সংস্কার প্রক্রিয়ার কথা বলি, তা আমাদের আন্দোলনেরই অংশ। অথচ এখন বলা হচ্ছে সংস্কার না হলে নির্বাচন হবে না। তাহলে কি ৫-১০ বছর নির্বাচন বন্ধ থাকবে?
তিনি বলেন, বিএনপি অবশ্যই ক্ষমতায় যেতে চায়। কারণ এই দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলে। গঠনতন্ত্রেও সেটি লেখা রয়েছে। বিএনপি এমন সরকার গঠন করতে চায়, যারা প্রকৃত অর্থে জনগণের সমস্যার সমাধান করবে।
প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ৯০ শতাংশ আমলা এখনো ফ্যাসিস্ট শাসনের দোসর। এমন অনির্দিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে উপকার দেবে না। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হচ্ছে, বিনিয়োগ আসছে না, নির্বাচিত সরকার ছাড়া বিদেশিরা আর বিনিয়োগ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি নেই, ব্যাংকে শৃঙ্খলা নেই। যারা এতদিন ব্যবসা করতে পারেনি তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় দেশে নতুন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ফিরে এসেছেন; তাকে দেখে মানুষের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেই আশাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।
সংলাপ ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা বাধা নই বরং দরকার হলে সামনে এসে দাঁড়াবো। জাতির স্বার্থে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিছু পণ্ডিতকে বসিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
আরএস