আ’ লীগ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেবে গণঅধিকার পরিষদ।

রোববার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আন্দোলনকারী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তবে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তৎপর ভূমিকা পালন করে আসছে। এ লক্ষ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, ২২ মার্চে ঢাকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সর্বশেষ ৯ মে শুক্রবার দুপুর ২টায় গণমিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, আবারও কেন ছাত্র-জনতা রাজপথে নামলো? গত ৮ মে রাতে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন। এ ঘটনায় রাঘববোয়ালদের বাঁচাতে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের সঙ্গে দূরত্ব কমানো। অন্যথায় এই ধোঁয়াশা ও অনিশ্চয়তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। গণহত্যার বিচারপূর্বক নিবন্ধনও স্থগিত বা বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত বিচার শেষ করে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলেই এই বিপ্লব সম্পূর্ণ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। উপস্থিত ছিলেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, হাবিবুর রহমান রিজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, আরিফুর রহমান প্রমুখ।

আরএস