আমীর খসরু

বিনিয়োগকারীরা নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

নির্বাচিত সরকার না থাকায় পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনকে সফল করতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের বিনিয়োগকারীরাও এখন একটি নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় রয়েছেন।”

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, “জুলাই আন্দোলন নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই আন্দোলন হাইজ্যাক করার সুযোগ নেই। যাদের নির্বাচন ভীতি আছে, আমি তাদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দিই।”

তিনি বলেন, “যারা নির্বাচনের ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই। তারা প্রেসার গ্রুপ বা এনজিও হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনি রাজনীতিও করবেন, আবার নির্বাচনে যাবেন না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন—এটা তো হতে পারে না।”

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলন নতুন কিছু নয়, এটা বাংলাদেশের মানুষের রক্তে ও ডিএনএতে মিশে আছে। শেখ হাসিনার পতন ছাড়া আন্দোলনের বিকল্প ছিল না। ৫ আগস্ট তাঁর পদত্যাগ না হলে আমরা ঘরে ফিরতাম না, আন্দোলন অব্যাহত থাকত।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচিত সরকার না থাকায় পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়বদ্ধভাবে কাজ করছে না। বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। যেসব দেশে বিপ্লবের পর নির্বাচিত সরকার গঠনে বিলম্ব হয়েছে, সেসব দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।”

আমীর খসরু বলেন, “আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মালিকানা এবং সাংবিধানিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আমরা আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করি না, যদিও বিএনপির নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আন্দোলনের সফলতার জন্য জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি বৈধ সরকার গঠন জরুরি।”

গণতন্ত্রের সুফল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচিত সরকার থাকলে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির ভয়ে থাকেন। বিশ্বের যেসব দেশ বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে, তারা যত দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠন করেছে, তত দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার মতো একদলীয় বাকশাল গঠন করতে চাই না। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষের চিন্তাভাবনায় যে পরিবর্তন এসেছে, সেটিকে মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে সামনে এগোতে হবে।”

ইএইচ