জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।”
সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মাঠে এনসিপির দেশব্যাপী কর্মসূচি ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নেতৃবৃন্দ জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “মুখে মুখে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলবেন আর পেছনে চাঁদাবাজি করবেন—এটা বরদাশত করা হবে না। এই চাঁদাবাজদের অভয়াশ্রম এনসিপি হতে পারে না। চাঁদাবাজি করলে তাদের ধরিয়ে দিন, প্রয়োজনে পুলিশে দিন।”
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী ও নেতার প্রয়োজন নেই। তেলবাজি ও সেলফিবাজির রাজনীতির জায়গা এই দলে নেই। আগে ঘর ঠিক করতে হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে এনসিপির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। উৎসুক জনতা দিয়ে কিছু হবে না, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ময়মনসিংহে ৪১ জন শহীদ হয়েছেন। কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ দিনমজুর। তাঁদের জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে এখনও আমরা আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি। ময়মনসিংহবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেই বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছি। ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করতে হবে—এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।”
মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “ময়মনসিংহে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের কেউ আহত ও শহীদ পরিবারের কথা শুনছে না। তারা চাঁদাবাজ ও তেলবাজদের নিয়ে ব্যস্ত। শহীদদের রক্তের ওপরে বসে যারা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের সতর্ক হতে হবে। কোনো আহত ভাই যদি আপনাদের চেয়ারের সামনে দাঁড়াতে বাধ্য হন, তাহলে আপনার চেয়ার থাকবে না। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো—যারা শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে অবজ্ঞাসূচক বা বিদ্বেষমূলক আচরণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রবিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ইএইচ