এনসিপি

জুলাই সনদের খসড়া গ্রহণ করতে পারি না

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের খসড়া হঠাৎ করে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ছাড়া প্রকাশের কারণে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেছে।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন বলেন, “আমরা এই খসড়াকে তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। কোনো আলোচনা ছাড়াই এটি প্রকাশ করা হয়েছে, যা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।”

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের সংলাপের বিরতিতে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

জাভেদ রাসিন বলেন, “যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনগত ভিত্তি পেতে হবে এবং সেই ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, “কমিশন ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতির কথা বললেও তা নিয়ে আলোচনা না করেই হঠাৎ করেই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, যা আমরা সঠিক বলে মনে করছি না। একতরফাভাবে কিছু চাপিয়ে দেওয়া আমরা মেনে নিতে পারি না।”

এনসিপির এই নেতা জানান, দলটি মৌখিকভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে, প্রয়োজনে লিখিতভাবেও তা জানানো হবে।

এর আগে সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ওই জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করে। খসড়ায় যেসব সংস্কার প্রস্তাব বা সুপারিশে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

খসড়ার ‘অঙ্গীকারনামায়’ সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চূড়ান্ত খসড়ায় রাজনৈতিক দলের নেতা-প্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর থাকবে।

খসড়ায় জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির পটভূমি, ঐকমত্য কমিশনের গঠন ও কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের আলোচনায় উঠে আসা প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া, কেয়ারটেকার সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় ‘র‍্যাংক চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতির প্রতি নাগরিক পার্টির সমর্থন রয়েছে। জাভেদ রাসিন বলেন, “বিচার বিভাগ থেকে আরও দুই সদস্য যুক্ত করে সাত সদস্যের একটি ভোটার কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যা আমরা সমর্থন করছি। প্রায় সব রাজনৈতিক দল এতে একমত, শুধুমাত্র বিএনপি ও কিছু সহযোগী দল বাদ।”

তিনি আরও বলেন, “দলীয় ফোরামে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা হবে কি না। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হলো—আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

ইএইচ