বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আমরা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি নয়, বরং জনগণের কাছে পরিচিত, প্রচলিত ও এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী পদ্ধতিই চাই। যেখানে যিনি এলাকার নেতা, সেখানকার মানুষ তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে — এটিই স্বাভাবিক নিয়ম।”
শুক্রবার দুপুরে ‘আমাদের টাঙ্গাইল’ আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যারা এখন নিয়মের ব্যত্যয়ের কথা বলছেন, তারা মূলত একটি ষড়যন্ত্র করছেন নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য। দেশের মানুষ ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।”
টুকু আরও বলেন, “আমরা কখনো বলি না আমরা ক্ষমতায় যাবো, আমরা বলি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবো। জনগণই দেশের মালিক, তারাই ঠিক করবে কে দেশ পরিচালনা করবে। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। তারা অতীতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে।”
প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি একটি উপমা টেনে বলেন, “পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ তিন ম্যাচে দুইটি জিতে সিরিজ জিতেছে। কিন্তু পাকিস্তান একটি ম্যাচে বেশি রান করেছে, মোট রানের যোগফলে এগিয়ে। তাহলে কি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে? এমন কমেন্টস এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে! অর্থাৎ, টাঙ্গাইলে ভোট দিয়ে যদি নোয়াখালীর এমপি পাওয়া যায়, তাহলে টাঙ্গাইলের মানুষের প্রতিনিধি কে হবেন?”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জুলফিকার আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানসহ অনেকে।
ইএইচ