বিশ্বকাপেও বাদ পড়তে যাচ্ছে কোহলিদের ভেন্যু!

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

আইপিএলের গত আসরে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে এমন আনন্দঘন মুহূর্ত বিষাদে রূপ নিতে সময় নেয়নি। আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিন দর্শকদের জন্য বেঙ্গালুরুতে উৎসবের আয়োজন করা হয়। যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর একপর্যায়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ১১ জন। ফলস্বরূপ ঘরোয়া ক্রিকেটের পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও বাদ পড়তে যাচ্ছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম!

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে ভেন্যুর তালিকা থেকে বেঙ্গালুরু বাদ পড়তে পারে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ক্রিকবাজ। বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই এবং আইসিসি উভয়পক্ষই উদ্বিগ্ন। কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) এখনও রাজ্য সরকারের কাছে বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি পায়নি। 

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর মেয়েদের এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারত-শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে। এ ছাড়া সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালসহ ৪ ম্যাচের সূচি ওই শহরে নির্ধারিত রয়েছে। এমনকি পাকিস্তান না ‍উঠলে ২ নভেম্বর ফাইনালও হওয়ার কথা বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু এখন সেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ গড়ানো নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এদিকে, আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের আগে একটা ঘরোয়া প্রতিযোগিতা মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফিও আয়োজনের কথা ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। সেই প্রতিযোগিতার ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতিযোগিতা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাইসুরুর শ্রীকান্তদত্ত স্টেডিয়ামে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পুলিশের কাছে অনুমতি পায়নি কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা। ১১ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত হতে যাওয়া সেই প্রতিযোগিতা হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থাও দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজনের কথা বলেছিল, তাও তাদের অনুমতি মেলেনি।

কেএসসিএ’র এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, আমরা রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি এবং অপেক্ষায় আছি জবাবের। তবে বিষয়টি এমন নয় যে, তারা আমাদের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। যদি এমন কোনো নীতি থাকে, তাহলে তারা মাইসুরুতে মহারাজা কাপ আয়োজনের অনুমতি দিত না। তাই আমাদের এখনও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এজন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে এবং আমরা ধাপে ধাপে আগাব।

জেএইচআর