দুই দশক পর একসঙ্গে দুই চুমকী

বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২২, ০১:৫৮ এএম

একজন ফারজানা চুমকি, অন্যজন নাজনীন হাসান চুমকি। দুজনই থিয়েটার থেকে অভিনয়ের দুনিয়ায় আসা দুজন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। ফারজানা চুমকির অভিনয় শুরু ঢাকা থিয়েটারের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে। নাজনীন চুমকীর অভিনয় শুরু ‘দেশ নাটক’-এ সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে।

আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে ফারজানা চুমকি ও নাজনীন হাসান চুমকীর প্রথম দেখা হয় নাজনীন চুমকী ও মীর সাব্বির অভিনীত একটি নাটকের শুটিংয়ে। সেই শুটিংয়ে এসেছিলেন ফারজানা চুমকি। সেখান থেকেই মূলত তাদের বন্ধুত্ব শুরু।

তারা দুজন আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে গাজী রাকায়েতের পরিচালনায় ‘পরিবার ও একটি কোম্পানী’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এরপর তারা বিভিন্ন টক শো ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হয়।

তবে আর কোনো নাটকে তাদের একসঙ্গে কাজ করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর ফারজানা চুমকি ও নাজনীন হাসান চুমকি একসঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করেছেন।

বাংলাভিশনে প্রচার চলতি নিমা রহমান পরিচালিত দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘গুলশান এভিনিউ সিজন টু’তে তারা দুজন আবারও দীর্ঘ সময় বিরতির পর অভিনয় করেছেন। ফারজানা চুমকি আগে থেকেই এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে আসছেন।

১৪৯ পর্ব থেকে এই নাটকের অভিনেতা তারিক আনাম খানের স্ত্রী হিসেবে নাটকটিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন নাজনীন হাসান চুমকী। ফারজানা চুমকি বলেন, ‘শুরু থেকেই গুলশান এভিনিউ সিজন টু ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।

শ্রদ্ধেয় নিমা আপা বেশ যত্ন নিয়েই নাটকটি নির্মাণ করছেন। আমরা যারা এতে কাজ করছি, তারাও বেশ আন্তরিকতার সাথে শ্রম দিয়ে কাজটি করছি। আমার বান্ধবী নাজনীন হাসান চুমকীর এই ধারাবাহিকে যুক্ত হবার মধ্যদিয়ে বিশেষত আমার ভালো লাগা বেড়ে গেলো অনেকখানি।

কারণ আমাদের বহু বছর একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়ে উঠছিল না। কিন্তু এবার অবশেষে হলো। এরইমধ্যে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি। শুটিংয়ের ফাঁকে গল্পে-আড্ডায় মেতে উঠেছি। আবারও ২২ আগস্ট শুটিং হবে। আবারও দারুণ সময় কাটবে।’

নাজনীন হাসান চুমকি বলেন, ‘নাটকের শুটিংয়ের বাইরে চুমকি ও আমার টক্কর, তারকা কথন, বন্ধু নামক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে। তবে আমাদের নানান ধরনের অনুষ্ঠানে নিয়মিতই দেখা হয়, কথা হয়, আড্ডা হয়।

দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করতে পেরেছি— এটাই আসলে অনেক ভালো লাগার। পুরো গুলশান এভিনিউ টিম আমাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে— এটাও পরম ভালো লাগার।’