সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: সিইসি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২২, ০১:৩৫ পিএম
সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: সিইসি

সরকারের কাছে ভোটের সময় সহযোগিতা চাইবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (২৫ জুলাই) চলমান সংলাপের সপ্তম দিনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন যেই সরকারই থাকুক না কেন তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে কমিশন। সেই সময় সরকার যদি সহযোগিতা না করে তবে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে ইসির হাতে।

সিইসি আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চেষ্টার কোনো ত্রু টি রাখবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা সাহায্য চাইব, সেটি কিন্তু আইনের আলোকেই চাইব। সে বিষয়েও আমাদের ভূমিকাটা দেখবেন। সত্যি সত্যি আমাদের ওপর আরোপিত ক্ষমতাটার কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবি’র হাতে, শক্তিটা সেনাবাহিনীর হাতে মূল শক্তিটা। 

শক্তিটা আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে সেই ধরণের অবস্থা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের মধ্যে যদি চিন্তায় ঐক্য থাকে, চেতনায় ঐক্য থাকে, আমাদের বিশ্বাসে যদি আন্তরিকতা সততা থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো কঠিন কাজ, যেকোনো কর্মযজ্ঞ যতই জটিল হোক না কেনো, যতই অসাধ্য হোক না কেনো সেটিকে আমাদের সাধ্যে আনতে পারব।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ইসির প্রয়াস থাকবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু আগেই বলেছেন (বাংলাদেশ মুসলীগ লীগের এক নেতা) নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। 

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা ওর আওতায় পড়ে যাব। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাব। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাব। এতে আমাদের কোনো অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব। আপনারা রাজনৈতিক শক্তি বা দল বা রাজনৈতিক শরিক দলগুলো যারা আছেন, আপনারা নিজেদের তরফে চেষ্টাগুলো করে যান। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। 

নির্বাচনের সময় সকল দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। যে করেই হোক আমাকে জিততেই হবে। কোনোভাবেই আমি হারব না। এই মনস্তত্ব যদি কারও মধ্যে থাকে, সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সংলাপে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

দলটির পক্ষ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার বিরোধিতা করা হয়।

সোমবার সপ্তম দিনে এসে ২৪টি দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও সবশেষ এলডিপি ও বাসদসহ ৬টি দল অংশ না নেয়ায় সোমবার পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৮টি। এরপর আরও ১৫টি দলের সঙ্গে ইসি সংলাপে বসার কথা রয়েছে, যা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।


আমারসংবাদ/টিএইচ