যারা টিকা নেননি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট তাদের জন্য বিপজ্জনক

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:২৪ পিএম
যারা টিকা নেননি,  নতুন ভ্যারিয়েন্ট তাদের জন্য বিপজ্জনক

করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ ৭’ বিপজ্জনক, বিশেষ করে যারা টিকা নেননি তাদের জন্য। এরি মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ ৭’ এর প্রভাবে চীনে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ভারতে আক্রান্তের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ‘বিএফ ৭’, যা ‘বিএ ৫’ এর একটি সাভ ভ্যারিয়েন্ট। ভাইরাসটি একজন থেকে ১৮ জনের শরীরে সংক্রমিত করতে পারে। তার মানে অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এটি চারগুণ বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এটির উপসর্গ ওমিক্রনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো। তবে এর ভয়াবহতা এখনো জানা যায়নি।

যারা টিকা নেননি তাদের মাঝে এই সংক্রমণের হার অনেক বেশি জানিয়ে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ, গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এর মধ্যে ভারতেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই সবাইকে করোনা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, গতকাল কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরামর্শে উঠে এসেছে, ষাটোর্ধ্ব ও করোনার সম্মুখযোদ্ধা, গর্ভবতী নারীদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য। কোমরবিডিটি (একাধিক অসুখ ও জটিলতা) মানুষকে সব সময় মাস্ক পরিধান ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থল বন্দর, বিমান-বন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করে তাদের আইসোলেট করা অথবা নির্দেশনা দেওয়া।

‘এছাড়া যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে সেখান থেকে আসা মানুষকে পরীক্ষা করে দেশে সেই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করতে পারি এবং দেশে যেন সহজে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ না ঘটাতে পারে সেই ব্যবস্থা করি। এরই মধ্যে আইইডিসিআরকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি যারাই আক্রান্ত হচ্ছে তাদের জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা সেটি বের করতে পারে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল, কোভিড ল্যাব, নিপসম, আইইডিসিআর এবং আই পিএইচএনের সঙ্গে মিটিং করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি।

‘এর মধ্যে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আমাদের দেশের সব হাসপাতালগুলোকে যেখানে আইসোলেশন আছে সেগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ ব্যাধি সেন্টারকেও (সিডিসি) নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য, চিকিৎসা নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

এসএম