গণঅভ্যুত্থান একটি যুক্তিসঙ্গত, বৈধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রক্রিয়া—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্মারক হিসেবে ঘোষণাপত্রটি সংরক্ষিত হবে এবং এটি সংবিধানের তফসিলে সংযুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে, আন্দোলনে অংশ নেওয়া নাগরিকদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করারও ঘোষণা দেন তিনি।
ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু হয় সন্ধ্যা সোয়া ৫টার পর। এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার এ ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে। এর রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও ড. আব্দুল মঈন খান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নেতা জুনায়েদ সাকি এবং ১২ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতারাও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই পুনর্জাগরণ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’। মূল মঞ্চ, সাউন্ড, লাইটিং ও অন্যান্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
ঘোষণাপত্র পাঠের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড দলের সঙ্গীতানুষ্ঠান।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ
দিবসটি উপলক্ষে রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ এবং বাংলাদেশ বেতার একযোগে সম্প্রচার করবে।
ইএইচ