নোয়াখালীতে মামলা প্রত‍্যাহার না করায় হামলা ও মারধরের অভিযোগ 

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২, ০৬:০৭ পিএম
নোয়াখালীতে মামলা প্রত‍্যাহার না করায় হামলা ও মারধরের অভিযোগ 

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউপির লাল নগর গ্রামে  মামলা প্রত‍্যহার না করায়  ভিক্ষুকের বসতঘরে হামলা, মারদর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রাম পুলিশ আজাদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অশ্বদিয়া ইউপির লাল নগরের মৃত ছায়েদল  হকের পুত্র জেলে মো: হোসেন (৫০) বাদী হয়ে তার বসত ঘরের ঘায়গা দখলের চেষ্টায় ব‍্যর্থ হয়ে তার স্ত্রী ভিক্ষার সুবাধে বাহিরে যাওয়ার সুযোগে বসতঘরে হামলা ও তাদের মেয়ে শিউলি কে শ্লীলতা হানির অভিযোগে পার্শ্ববর্তী গ্রাম পুলিশ মোঃ আজাদ (৪৫), আব্দুস সাত্তার (৩০), মোঃ সোহেল (৩৫), উভয়ের পিতা রবি আলমসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সিআর মামলা  নং ৩২০/১৮ দায়ের করেন।

এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ১৯মে  মামলা প্রত‍্যহারের জন‍্য কোর্ট হাজিরা না দেওয়ায় বিকেলে ভিকটিমের বসতরের সামনে অভিযুক্তরা অশালীন ভাষায় গাল মন্দ ও উচ্ছেদের হুমকি দেওয়ায়,তাদের আচরনের প্রতিবাদ করায় অভিযুক্তগন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্রে সজ্জিতহয়ে বাদী মো: হোসেন কে এলোপাথাড়ি মারদর করে আহত করে। এবং বাদীর মেয়ে শিউলি তার বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শিউলির কোলে  থাকা বাচ্ছা শিশুকে ছোঁড়ে ফেলে আহত করে এবং শিউলি কে মারদর ও তার শরীরের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে এবং  পুনরায় বসতঘরে হামলা করে বলে আমার সংবাদ কে জানান। এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হত‍্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

আহত আবুল হোসেনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বাদী মোঃ হোসেন জানায় সে হতদরিদ্র একজন মাছ বিক্রেতা, তার স্ত্রী মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোমতে তারা জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।  প্রতিপক্ষ মোঃ আজাদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে এই পরিবারটির উপর জুলুম-অত্যাচার চালিয়ে আসছে। এবং এলাকাবাসী তার এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। কেউ ভয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না কারণ আজাদ  গ্রাম পুলিশ তাই তার সাথে থানা পুলিশের সাথে সক্ষতা রয়েছে এবং তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বলে স্হানীয়রা জানান। অভিযুক্তদের  ভয়ে বাদী ও তার পরিবার পরিজন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আলমগীর ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত তাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ঘটনার সময় খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি অনুকূলে আনেন এবং ভূক্তভোগীদেরকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরার্মর্শ দেন। 

অপরদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন অপরাধী আজাদ চৌকিদার নয় আরো বড় কেউ হলেও তার কঠোর বিচার করা হবে।

সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের অফিসিয়াল মোবাইলে একাধিক বার করেও রিসিভ না করায় অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আমারসংবাদ/কেএস