খোকসায় সড়কের ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ 

কুষ্টিয়া (খোকসা) প্রতিনিধি  প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ০৫:৫২ পিএম
খোকসায় সড়কের ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ 

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহা সড়কের খোকসা ইউনিয়নের মোড়াগাছা বাজার সংলগ্ন খালের উপর ব্রিজটি এখন রীতিমতো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজটির রেলিং ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে হাজারো বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন ও অসংখ্য পথচারী। খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে আপততঃ বিপদ সংকেত ও ব্যারিকেড দিয়েছে। এই ব্রিজটি স্থানীয় বাসিন্দাদের খোকসা বাজার, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সংযোগ স্থাপন করেছে। 

স্থানীয়রা জানালেন, ট্রাকের ধাক্কায় ব্রিজটির রেলিং ভেংগে গেছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে অসংখ্য পথচারি ও যানবাহন। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী, পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় একাধিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অসংখ্য ব্যক্তি।

মোড়াগাছা ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে আমাদের এ ব্রিজে। মাঝেমধ্যেই  ব্রিজটি সংস্কারও করা হয় । কিন্তু বেশিদিন টেকেনি, আবার যা তাই হয়ে গেছে।

ওই এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ আতিয়ার আলী ও মিজানুর রহমান বলেন, এই ব্রিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাকসহ হাজার হাজার পণ্যবাহী যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে। কিন্তু ব্রিজটি ভাঙা থাকায় অনেক বিড়ম্বনায় পরতে হয় তাদের। দ্রুত এই ব্রিজ সংস্কারের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে কথা হয় খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সাথে। তিনি বলেন, মাঝে মাঝেই ব্রিজটির রেলিং ভেংগে যায়। কতৃপক্ষ সংস্কার করলেও তা টিকে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

কেনো এমন হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেইন সড়ক হতে ব্রিজটির প্রসস্থতা কমের কিংবা লেভেলের গরমিলের কারণে এমন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে আপততঃ বিপদ সংকেত ও ব্যারিকেড দিয়েছে। দ্রুত ব্রিজটি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান এই জনবান্ধব চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে কথা হয় কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মোঃ শাকিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আপাতত সতর্কতার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে সমস্যা টির স্থায়ী সমাধান করা হবে।

কেএস