ভোগা‌ন্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরবেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২, ১১:৫৯ এএম
ভোগা‌ন্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরবেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

ঈদের মাত্র আর কয়েকদিন বাকি এরই মধ্যে স্ব‌প্নের পদ্মা সেতুর সুফল পে‌তে শুরু ক‌রে‌ছে দ‌ক্ষিণ প‌শ্চিমঞ্চ‌লের অন্যতম দৌলতদিয়া-পাটু‌রিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহ‌নের চালকরা। 

দীর্ঘ সি‌রিয়া‌লে না থে‌কে সরাস‌রি এ‌সে ফে‌রি‌তে উঠ‌ছে যানবাহন। ফ‌লে এবারই প্রথম ভোগা‌ন্তি ও অ‌পেক্ষা ছাড়াই ঈ‌দে বাড়ি ফিরবে দক্ষিণঞ্চ‌লের লক্ষ লক্ষ মানুষ।

প‌বিত্র ঈদ উল আযহা উপল‌ক্ষে অ‌তি‌রিক্ত যাত্রী ও যানবাহ‌নের চাপ সামাল দি‌তে এবার দৌলতদিয়া-পাটু‌রিয়া নৌরু‌টে যাত্রী ও যানবাহন পারাপা‌রে চলাচল কর‌বে ২১টি ফে‌রি।

বিআইড‌ব্লিটি‌সির ডি‌জিএম শাহ মো. খা‌লেদ নেওয়াজ ব‌লেন, যাত্রী ও যানবাহন পারাপা‌রে তা‌দের পর্যাপ্ত প্রস্তু‌তি র‌য়ে‌ছে। ঈ‌দের চাপ শুরুর আগেই বহ‌রে ২১‌টি ফে‌রি যুক্ত করা হ‌বে। প্রয়োজন হ‌লে আরও ১টি ফে‌রি বাড়া‌নো হ‌বে। এখন যে‌হেতু চাপ একটু কম, যে কার‌ণে সামান্য ত্রু টিগু‌লো মেরামত ক‌রে নি‌চ্ছেন। যেন ঈ‌দে কোন সমস্যা না হয়।

দ‌ক্ষিণঞ্চ‌লের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসা‌বে প‌রিচিত রাজবাড়ী গোয়াল‌ন্দের দৌলত‌দিয়া ঘাট। প্রতি‌দিন এ ঘাট ব্যবহার ক‌রে কয়েক হাজার যানবাহন নদী পারাপার হয়। ঈদ বা উৎস‌বে যানবাহনের সংখ্যা আরও বে‌ড়ে যায়। 

ত‌বে ২৫ জুন দক্ষিণব‌ঙ্গের আ‌রেক নৌপথ মাওয়া-জা‌জিরা প‌য়ে‌ন্টে স্ব‌প্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে যায় দৌলত‌দিয়া ঘা‌টের চিত্র। আগে ‌দৌলত‌দিয়ার সড়‌কে ফে‌রির অ‌পেক্ষায় থাকতো যানবাহনের লম্বা সি‌রিয়াল। আর এখন যানবাহ‌নের অ‌পেক্ষায় থা‌কে ফে‌রি। 

এ‌দি‌কে পদ্মার তীব্র স্রো‌তে ব্যহত হ‌চ্ছে ফে‌রি চলাচল। সেই সঙ্গে ঢাকামু‌খি কোরবা‌নির পশুবা‌হি ট্রা‌কের চাপ বে‌ড়ে‌ছে দৌলত‌দিয়ায়। ফ‌লে সড়‌কে কিছুটা সি‌রিয়াল তৈ‌রি হ‌চ্ছে। ত‌বে অগ্রা‌ধিকার ভি‌ত্তি‌তে যাত্রীবা‌হি বাস ও পশুবা‌হি ট্রাক পারাপার কর‌ছে কর্তৃপক্ষ।

অপর‌দি‌কে দৌলত‌দিয়া-পাটু‌রিয়া নৌরু‌টে লঞ্চ চলাচলও স্বাভা‌বিক থাক‌বে। যানবাহন ক‌মে যাওয়ায় ল‌ঞ্চে আগের মত যাত্রী‌দের চাপ নাই।

স্থানীয় কায়সার খান ব‌লেন, ঘা‌টের যে প‌রি‌স্থি‌তি আছে, তা‌তে এবার ঈ‌দে ঘন্টার পর ঘণ্টা অ‌পেক্ষায় থাক‌তে হ‌বে না যানবাহনগু‌লো‌কে। সরাস‌রি তা আসা-যাওয়া কর‌তে পার‌বে।

ট্রাক চালক হালিম মোল্লা ব‌লেন, ৫ থে‌কে ২০ ঘণ্টা। আবার কোন কোন সময় দি‌নের পর দিন দৌলত‌দিয়ায় ফে‌রির অ‌পেক্ষায় থে‌কে কষ্ট ক‌রে‌ছি। ত‌বে এখন আর কষ্ট কর‌তে হ‌চ্ছে না। 

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী গরুর মা‌লিক পলাশ মিয়া ব‌লেন, গত বছর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌলত‌দিয়া ঘাটে আট‌কে থে‌কে‌ছি । কিন্তু এবার সরাস‌রি এ‌সে ফে‌রিতে উঠতে পারছি। কোন ভোগা‌ন্তি পোহা‌তে হয় নাই। সময় মত গরু হা‌টে তুল‌তে পার‌বো।


আমারসংবাদ/টিএইচ