রামগতি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে বয়ারচর

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম
রামগতি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে বয়ারচর

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মূল ভূখণ্ড থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে চর গাজী ইউনিয়নের বিশাল জনবহুল এলাকা বয়ারচরের।

জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে বয়ার চরের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে বয়ারচরে সিডিএসপি অর্থায়নে এলজিইিডির তদারকিতে নির্মিত ১০০ মিটার ব্রিজ।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে চর গাজী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকার এবং হাতিয়া ও নেয়াখালীর মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ ব্রিজটি। ব্রিজের দুই পাশে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্রোত এসে ধাক্কা দেয় মূল ব্রিজের কাঠামোতে। যার ফলে দুই পাশ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল ব্রিজ। গত কয়েক মাস থেকে ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে মূল ব্রিজটি এখন আস্তে আস্তে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ বছর কাজ করতে না পারলে পুরো ব্রিজটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন ব্রিজ সংস্কার ও দুই পাশের এপ্রোচের পেলাচেটিংয়ের মাটি ভরাটের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় মৎস্য আড়ৎদার আবদুল ওয়াহেদের বাধার কারণে কাজটি হয়নি। কাজ করার জন্য গেলে তিনি ঠিকাদারের কাজে বাঁধা দিয়ে তিনি অজুহাত দেন দুই পাশে জমা পলি ও বালুর মালিক পাউবো। যার ফলে ব্রিজের সংস্কার কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

স্থানীয়দের আশংকা, এমনিতে হাতিয়ার সাথে সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রায়ই ঘটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অপরদিকে এ ব্রিজ ভেঙ্গে গেলে পুরো এলাকা হাতিয়ার দখলে চলে যাবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় মৎস্য আড়ৎদার আবদুল ওয়াহেদের কাছে বাঁধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যান।

এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল রহিম জানান, ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। নদী তীরের বালুচর থেকে পলি কেটে বস্তা ডাম্পিংয়ের কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। স্থানীয় প্রশাসন বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে এবং সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্রিজটি রক্ষার জন্য। পেলাচেটিংয়ের ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশের সংস্কার কাজ চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, আমরা বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ব্রিজটি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা ও সামনে জমা পলিমাটি অপসারণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমারসংবাদ/এসএম