এক মাসের ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে লাপাত্তা শিক্ষিকা

আল-আমিন, নীলফামারী প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২, ০৯:০৮ পিএম
এক মাসের ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে লাপাত্তা শিক্ষিকা

এক মাসের ছুটি নিয়ে একবছর ধরে লাপাত্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা। দীর্ঘ দিনে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ অন্যান্য সহকর্মী ও শিক্ষা কর্মকর্তা কারও সাথেই যোগাযোগ নেই তার। ফলে তিনি জীবিত না মৃত অথবা কোথায় আছেন, কি করছেন বা কর্মস্থলে কেন অনুপস্থিত এ বিষয়ে কারও কাছে কোন তথ্য নেই।

এমনই ঘটনার সূতিকাগার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রহমাতুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি উপজেলার পুরাতন বাবুপাড়া দারুল উলুম মাদরাসা মোড় এলাকার মাহমুদ আলমের স্ত্রী মোছা. আশরাফী। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্বপরিবারে লাপাত্তা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন বলেন, আমেরিকায় অবস্থানকারী অসুস্থ শ্বাশুড়ীকে দেখার জন্য গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন আশরাফী। তাতে আমি নিজে সুপারিশ করে শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়।

পরে তিনি ডিজি‍‍`র অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশে চলে যান। তবে যাওয়ার সময় ছুটি মঞ্জুরির কোন প্রকার কাগজ বা প্রমাণপত্র বিদ্যালয়ে বা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেননি। গৃহিত একমাসের ছুটি শেষ হলেও তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে টিও সারের নির্দেশে ১২ অক্টোবর ২০২১ এর পর থেকে হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে আসছি।

তিনি আরও বলেন, তার সাথে আশরাফীর কোন প্রকার যোগাযোগ নেই।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী মন্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তারা এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন। আমার আর কিছুই করার নাই।

আপনার লিখিত ফরওয়ার্ডিং এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদফতর বা মন্ত্রণালয় কি ফিডব্যাক দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আর কোন যোগাযোগ করিনি। সর্বশেষ কি অবস্থা সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আশরাফীর পরিবারের কাছ থেকেও কোন তথ্য জানার চেষ্টা করেননি এই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহকর্মী বলেন, ওই শিক্ষিকা না থাকায় তার ক্লাসগুলো দীর্ঘ একবছর ধরে অন্য শিক্ষিকারা সমন্বয় করে নিচ্ছেন। এতে আমাদের উপর বাড়তি চাপ পড়েছে। আশরাফী কারও সাথেই যোগাযোগ রাখেনি। এমনকি ফেসবুক একাউন্টটাও লক করে রেখেছে।

জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষিকার ছুটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার জানা থাকলে এতদিনে বিভাগীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নিতাম।

কেএস