মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে গোসাইরহাটের দুই ব্রিজ

নয়ন দাস, গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ১২:৪০ পিএম
মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে গোসাইরহাটের দুই ব্রিজ

শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের চর গোয়ালকুয়া ও তর গোয়ালকুয়ার মাঝামাঝি দুইটি খালের উপর নির্মিত দুটি ব্রিজ ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বড় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতেই ব্রিজটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন ভাঙা ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজের ওপর দিয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত দুটি ব্রিজের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা উঠে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সরু এই ব্রিজের দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

দক্ষিন হলইপট্টি গ্রামের বাসিন্দা শংকর মন্ডল বলেন, ৫ বছর ধরে এই ব্রিজটা ভেঙে পড়ে আছে। এই গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, আমরা বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। অনেককেই ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু কোনো সমাধান আসছে না।

তর গোয়ালকুয়া গ্রামের মো. ইউনুস তালুকদার বলেন, ২৫-৩০ বছর আগের এই ব্রিজ, চর গোয়াকুয়া ও তর গোয়ালকুয়া মাঝামাঝি দুইটি খালের ওপর ব্রিজ নির্মিত হয়। বর্তমানে এ ব্রিজের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ এই ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। ব্রিজে যানবাহন উঠলে কেঁপে উঠে। যে কোনো সময় এটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ইটালকুয়া গ্রামের শ্যামলাল মিস্তী (৬৫) বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ ব্রিজটির রেলিং ও ঢালাইয়ের একাংশ খসে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের উপর রড বের হয়ে রয়েছে কোনোমতে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী।

ইটালকুয়া নুরানী মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল কবির বলেন, আমার বাড়ী মাছুয়াখালী, আমার প্রতিদিন যাওয়া আশা করতে হয়৷ প্রায় ৫ বছর ধরে এই ব্রিজ দুইটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে, আমরা অনেক কষ্টে যাতায়াত করছি।আমাদের ৩টি গ্রামের লোকজনের এই একটাই পথ। মেম্বারকে এলাকাবাসি অনেক বার জানিয়েছে, তারা কোনো কর্ণপাত করে না।

এলাকাবাসী আরো বলেন, এই ব্রিজদুটি যাত্রীবাহী গাড়ী চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ব্রিজ দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করা।

গোসাইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার দশরথ কুমার বিশ্বাস বলেন, আনুমানিক ২৫-৩০ বছর আগে দুইটি ব্রিজ নির্মিত হয়েছিলো। তবে বর্তমানে ব্রিজদুটিতে চলাচলের অনুপযোগী। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করতেছি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাক্কলনের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হবে। আশা করছি খুব দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন হয়ে যাবে।

এআই