রাত পোহালেই নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন

সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন

সোমবার দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের মাঝে। কে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছে এ নিয়ে ব্যাপক কাজ করছে মানুষের মাঝে। ভোট গ্রহণ শেষে ঘোষণা করা হবে ফলাফল। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।

এছাড়া সংরক্ষিত দুইটি ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১১জন। এর মধ্যে ১,২,৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়াডের্র ৫জন এবং ৪,৫,৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬ জন। সংরক্ষিত নারী ১নং ওয়ার্ড (ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেহেরুন আকতার (পলিন), সন্ধ্যা রানী রায়, শ্যামলী আক্তার, রোকসানা পারভীন দীপ্তি ও লায়লা বেগম। সংরক্ষিত নারী ২নং ওয়ার্ড (নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিউলি আক্তার বানু, নাসরিন আক্তার, ইসরাত জাহান পল্লবী, সুমিত্রা রানী, হাসিনা বেগম ও নূর জাহান বেগম।

অপর দিকে সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৩জন এবং ৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (ডিমলা উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমএ বারী সূর্য ও মোঃ ফেরদৌস পারভেজ‌। ২নং ওয়ার্ডে (ডোমার উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিজানুর রহমান (মিজান), মনজুর আহমেদ (ডন) ও আতাউর রহমান। ৩নং ওয়ার্ডে (জলঢাকা উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোশাররফ হোসেন, নব কুমার রায়, সেলিম রেজা, পরবানন্দ রায়, মমিনুল ইসলাম ও লাল বাবু রায়। ৪নং ওয়ার্ডে (নীলফামারী সদর উপজেলা) দেওয়ান বিপ্লব আহমেদ, সাইদুর রহমান এ্যাপোলো ও সোহেল রানা। ৫নং ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, মিজানুর রহমান লিটন, নুরুল আমিন প্রামানিক ও ফয়েজ আহমেদ। ৬নং ওয়ার্ডে (সৈয়দপুর উপজেলা) ফাতেমা বেগম, মাসুদ রানা ও জুলফিকার রহমান।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলার ছয়টি কেন্দ্রে ৮৫৭ জন ভোটার ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এর মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, পুলিশ প্রশাসন ভোটারদের সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বন্ধ পরিকর। নির্বাচনে কোন ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। কেউ যদি কোন ধরণের অনিয়ম করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আমরা সকল ধরণের আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ভোটারদের সার্বিক সহযোগিতা করাবে প্রশাসন। তারা যেন ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ভোটার, প্রার্থী কিংবা নির্বাচনী এজেন্ট এবং পোলিং এজেন্ট প্রবেশ করতে পারবে না।

এসএম