চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর গোডাউন আ.লীগ নেতার দখলে

শরিফ শেখ, সাভার প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ১২:১৯ পিএম
চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর গোডাউন আ.লীগ নেতার দখলে

সাভারের আশুলিয়ায় ৫লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে এক ব্যবসায়ীর জমি ও গোডাউন দখল করে রেখেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক সহ তার ক্যাডার বাহিনী।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আহাদ আলী আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ও তার ৫ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাতনামা অনেক জনের নামে আশুলিয়া থানায় মামলা নাম্বার-৩৪ দায়ের করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের কাইচাবাড়ি আহাদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আ.লীগ নেতার ভাই রৌশন আলম নামের ব্যক্তি ২০১৩ সালে চুক্তির মাধ্যমে গোডাউন ভাড়া নিয়ে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসছিল। লিখিত চুক্তিপত্র মূলে ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় চুক্তির মাধ্যমে মাসিক ভাড়া ২০ হাজার টাকা নির্ধরন করে পাচঁ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে ফারুক সহ ঝুটের ব্যবসা শুরু করে। ভাড়া নেয়ার পরথেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে। এর পর থেকে ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন টাল বাহানা ও ভাড়া দিবেনা বলে উল্টো অরও ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ভোক্তভোগীকে গোডাউনে আটকিয়ে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন ও মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে এবং গোডাউন-জমি নিজের বলে দাবি করে।

এ বিষয়ে ভোক্তভোগীরে ছেলে মোঃ শফিউল্লাহ মিয়া বলেন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার পর থেকে দলীয় নাম ব্যবহার করে ওমর ফারুক কিছুদিন যাবৎ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার অনেক সাধারন মানুষ। কিভাবে এ ধরনের চাঁদাবাজ আ.লীগে ঠায় পায় আমার মাথায় আসে না। আমাদের কাছে চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন সময় অস্ত্র ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা কয়েক দফা হামলা করে এবং আমাদের গোডাউন ঘর ও জমি নিজের বলে দাবি করছে। আমি সহ আমার পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছি যে কোন সময় তার সন্ত্রাসীরা আমাদের পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

এ ব্যপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কেএস