মানিকগঞ্জে কাজ না করেই মসজিদ-মাজারের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম
মানিকগঞ্জে কাজ না করেই মসজিদ-মাজারের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাঠইমুড়ী হযরত আফাজ উদ্দিন শাহ্ (র:) এর মাজার শরীফে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের ৪টি প্রকল্পের ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ খানের বিরুদ্ধে। আর এ টাকা আত্মসাতের সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছে।

ঘিওর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর এমপি কোঠার (টিআর) বাঠইমুড়ী মাজার শরীফের ওয়াল বাউন্ডারী নির্মান কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা, হাট সংস্কারের জন্য ২ লক্ষ টাকা, মাজারের জামে মসজিদ সংস্কারের জন্য ৫৭ হাজার টাকা ও ঈদগাহ মাঠ সংস্কারের জন্য ২ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, বাঠইমুরী মাজার শরীফের বাউন্ডারী ওয়াল, ঈদগাহ ও মসজিদের সংস্কারের কাজ করা হয়েছে পাঁচ বছর আগে। কিন্তু প্রকল্পের ওই টাকা দিয়ে উক্ত খাতগুলোতে কোন কাজই করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।

বাঠইমুড়ী এলাকার লিয়াকত আলী (৬০), হালিম (৬৫), হাসেম আলী (৭০) সহ অন্যরা বলেন, আমরা প্রায় সময় মাজারে বসেই সময় কাটাই। আমাদের মাজার, ঈদগাহ, মস্জিদ ও হাটে ২০২১-২২ অর্থ বছরে নতুন কোন কাজ করা হয়নি। এসব কাজ চার থেকে পাঁচ বছর আগে করা হয়েছে। উপজেলা অফিসারদের সহায়তায় মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ খান এই কাজের টাকা উঠিয়ে খেয়ে ফেলেছে।

মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ খান অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, বাঠইমুড়ী মাজার শরীফের ওয়াল বাউন্ডারী নির্মান, হাট সংস্কার, মাজার জামে মসজিদ সংস্কারের কাজ আরও ৪-৫ বছর আগে করেছি। আর ইউএনও স্যার বিষয়টি ভালো করে জানেন। ২১-২২ অর্থবছরে ইউএনও স্যার ও কমিটির লোকজন মিলে প্রকল্প পাশ করেন। ৪-৫ বছর আগে করা ওই কাজ দেখিয়ে নতুন করে পাশকরা ২১-২২ অর্থ বছরের টাকা উত্তোলন করেছি। ২১-২২ অর্থবছরে পাশ করা টাকা দিয়ে নতুন কোন কাজ করা হয় নাই।

এ বিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাজারে কাজ না করে কোন বিল উত্তোলন করা হয় নাই। কাজ করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, বাঠইমুড়ী মাজার প্রকল্পে সঠিকভাবেই কাজ করা হয়েছে। কাজ হয়েছে বিধায় বিল দেয়া হয়েছে। ওখানকার বাজার কমিটির নির্বাচন নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। একটি পক্ষ মাজার প্রকল্পের কাজ নিয়ে মিথ্যাচার করছে।

কেএস