কুমিল্লা জেলা পুলিশ মাদক উদ্ধারে দেশসেরা

পুরষ্কার পেলেন কুমিল্লার এসপি আব্দুল মান্নান

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
পুরষ্কার পেলেন কুমিল্লার এসপি আব্দুল মান্নান
  • থানায় মামলা ২ হাজার ১২৯টি 
  • গ্রেপ্তার ২ হাজার ৬শ ০১ জন
  • ৮ হাজার ৬শ ৯৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার
  • ১ লাখ ২১ হাজার ৫২৯ ইয়াবা উদ্ধার
  • ২২ সালে মোট ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার

কুমিল্লা ২০২২ জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত থানাওয়ারী মাদক উদ্ধারে সারাদেশে প্রথম হয়েছে কুমিল্লার জেলা পুলিশ। পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান পণ্য এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারেও কুমিল্লা জেলা পুলিশ তৃতীয় অবস্থান অধিকার করেছে। দেশ সেরা এই অর্জনে পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।

এসময় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে পুরষ্কার হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’-এই প্রতিপাদ্যে গত ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ৬ দিনব্যাপি পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ এবং অপারেশন) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলায় ১৮টি থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মাধ্যমে মোট ২হাজার ১২৯টি মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানায় জিডির সংখ্যা ১৩ টি। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তারকৃত আসামির সংখ্যা ২ হাজার ৬শ ১ জন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমানে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, ইস্কাপ সিরাপসহ নানান ধরনের মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এক বছরে ৮ হাজার ৬ শত ৯৯ কেজি ৬৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ হাজার ৫৫ বোতল ফেনসিডিল, দেশী মদ ৬শ ২০ বোতল, হুইস্কি ৬০৭ বোতল, বিয়ার ৪৪০ বোতল, স্কাপ সিরাপ বোতল ২হাজার ৫শ ৬৮টি বোতল, বিদেশী মদ ১ হাজার ২শ ৬৪টি বোতল উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ১ লাখ ২১ হাজার ৫২৯ ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মদ বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় সিরাপও আটক করা হয়। মোট ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৭০ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কুমিল্লার প্রতিটি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক উদ্ধারে কাজ করছে। সারা দেশে আমাদের এই অর্জনে আমরা খুশি। কুমিল্লা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া মাদক সম্পর্কিত তৎপরতা বেশি, তবে আমরা সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি।

টিএইচ