জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪, যা জুলাই বিপ্লব হিসেবেও পরিচিত, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পালিয়ে যান। এরপর গোটা দেশ উল্লাস ও আনন্দে মেতে ওঠে।
শুক্রবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে পার্টি অফিসে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা বলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম ফজলুল হক মিলন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার।
প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম ফজলুল হক মিলন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফী হাবিবুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল আহসান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলম, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. লুৎফুর রহমান, উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ মৃধা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. ইব্রাহীম প্রধান, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনির উদ্দিন পাঠান মিঠু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ মোমেন, গাজীপুর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মোল্লাসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।
সভায় আলহাজ্ব একেএম ফজলুল হক মিলন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দলের জন্য কাজ করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। ১৭ বছর ধরে অনেক ত্যাগ, জেল, জুলুম সহ্য করে আজকে আমরা আলোর দেখা পেয়েছি। ভুল পথে হাঁটলে সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দলকে শক্তিশালী করতে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট বিকেলে বিএনপির উদ্যোগে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ থেকে আনন্দ র্যালী বের হবে। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাপ্ত হবে।
ইএইচ