সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচলে বিঘ্ন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ১২:৪০ পিএম
সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচলে বিঘ্ন

পৌষের শেষ সময়েই শীত জেঁকে বসেছে। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের উত্তাপ কমায় চারদিকে জবুথবু অবস্থা। উত্তরের জেলা নীলফামারীতে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি মৃদু শৈত্যপ্রবাহও বইছে এ জেলায়। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন করতে পারেনি।

বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার সুপ্লব ঘোষ বলেন, আজ সকালে বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের নির্ধারিত সময় ছিল ১১টা ১৫ মিনিট। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায়  নির্ধারিত সময়ের থেকে বিমান অবতরণে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেট হতে পারে। আমরা দৃষ্টি সীমানা পরিমাপ করছি। বর্তমানে দৃষ্টিসীমা এক হাজারের মিটারের কম আছে। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এজন্য ফ্লাইটের সিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে।

বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। সকাল ‌১০টায় ৪০০ মিটার। যা বেলা ১১টায় বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০ মিটারে। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাই কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পর্যবেক্ষক লোকমান হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড  করা হয়েছে ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে আসলে শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া থাকায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এমন অবস্থা আরও কদিন থাকতে পারে।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে মহাসড়কে।

কেএস