কাউনিয়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

মো. সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর): প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০২:৫৯ পিএম
কাউনিয়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

দুর্গম চরাঞ্চল। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নেই স্বস্তিবোধ। তাই চাষিদের সঙ্গে পাইকারদের নেই ব্যবসায়িক সংযোগ। এ কারণে ভালো ফলনের পরও মিষ্টি কুমড়ার প্রকৃত দাম পাচ্ছে না তারা।

মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণ করতে হিমাগার না থাকায় কম দামেই হাত বদল হচ্ছে। ধু-ধু বালুচরের বুকে আশা জাগানিয়া মিষ্টি কুমড়ার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত চাষিদের রয়েছে অনেক অভিযোগ। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা পানির দরে কিনে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করে চাষিদের চেয়ে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা l

খোজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তায় প্রতি বর্ষা মৌসুম শেষে চর জাগে। এরপর ৬ মাস শুষ্ক থাকে নদী,পড়ে থাকা বালুচরকে চাষ উপযোগী করতে আলাদা মাটি নিয়ে এসে কঠোর পরিশ্রম করে নদী ভাঙনের শিকার এসব ভূমিহীন মানুষ।

কাউনিয়া উপজেলার ৫ নং বালাপাড়া ইউনিয়নের তালুক শাহবাজ গ্রামের কৃষক স্বাধীন মিয়া, তোতা ও জব্বার জানান, বিগত বছরে বীজ সংকট ও নিম্নমানের বীজের কারণে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা কুমড়ার আবাদ ছাড়েননি। কুমড়া আবাদের ফলে চরে এখন তামাকের আবাদ কমেছে। কিন্তু হাড়ভাঙা খাটুনির পরও তারা মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে প্রকৃত মুনাফা পাচ্ছেনা। সংরক্ষণাগার থাকলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানান তারা। চাষিরা দাবি করেন সম্মিলিতভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া সরাসরি বাজারজাত করতে সরকার যেন ভূমিকা রাখে। সরকারের সুদৃষ্টি থাকলে এই মিষ্টি কুমড়া হতে পারত তাদের জন্য আশীর্বাদ।

এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান,  এবার তিস্তার চরে  চলতি মৌসুমে আবহাওয়া আনুকলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু চাষিরা যে সঠিক দাম পাচ্ছেন এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি বিভিন্ন সুপার মার্কেটের সাথে যোগাযোগ করে লিংকেজ করার চেষ্টা করছি, এবংসরকারিভাবে এখানে একটি হিমাগার নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেরে সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আরএস