ঝিনাইগাতিতে আগাম জাতের বোর ফসল কাটা মাড়াই শুরু

ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম
ঝিনাইগাতিতে আগাম জাতের বোর ফসল কাটা মাড়াই শুরু

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে আগাম জাতের বোর ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই বোর কাটা মারাইয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরবে অত্র এলাকার বোর চাষিরা। ঝিনাইগাতি উপজেলার অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। 

এখানকার কৃষকদের প্রধান কৃষি ফসল হলো ধান, পাট, গম, ভুট্টা, আখ ও নানা জাতের সবজী উৎপাদন করা। তবে অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকেই ধান উৎপাদন করে থাকে। কারন উৎপাদিত ধান নিজেদের খাদ্যা চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল বাজারে বিক্রি করে কৃষকদের অন্যান্য চাহিদা পূরন করে থাকে। 

এখানে প্রচুর পরিমাণ বোর ও আমন ফসল উৎপাদন করে এলাকার কৃষকেরা। এই বছর চলতি বোর ফসল অত্র উপজেলা চাষ হয়েছে সরকারি হিসাব মতে ১৪ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। 

কিন্তু বেসরকারী হিসাবে আরো বেশি জমিতে বোর চাষ হয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারনা। নানা প্রতিকূলতা ও বৈরী আবহওয়ার মধ্যে দিয়ে বোর চাষ শুরূ হয়। এই ঝুট ঝামেলা কাটিয়ে কৃষকেরা তাদের কষ্টের ফসল বোর চাষ করেছে। 

বর্তমানে ফসলের অবস্থা অনেক ভালো আছে। কৃষকেরা অপেক্ষার প্রহর গুনছে এখন কাঙ্খিত ফসল ঘড়ে তুলতে পারবে। বোর চাষের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে পরেনি। বা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিপাতে কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। 

যদি বোর মৌসুম কোন প্রাকৃতিক ঝুট ঝামেলার মধ্যে না পরে। তাহলে এই চলতি বোর উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ কথা বলেন। 

যে সমস্ত জাতের ধান কৃষকরা অত্র উপজেলায় চাষ করেছে, উন্নত জাতের হাইব্রীড ও উন্নত মানের চিকন ধান। যথাক্রমে ২৬-ব্রী, ২৮-ব্রী, ২৯-ব্রী, শক্তি-১, শক্তি-১৪, তেজগোল্ড, সুপার গোল্ড। চিকন জাতের ধান হলো- কাটারী ভোগ, চিনি গুড়া, বাসমতি, সু-গন্ধি, জামাই ভোগসহ আরো অনেক প্রকার চিকন বাসমতি ধানের আবাদ এই বছর হয়েছে। 

তবে ইতিপূর্বে এই এলাকায় বোর মৌসুমে মোট ও হাইব্রীড জাতের ধান উৎপাদন হলেও এই বছর অনেক জমিতে বাসমতি ধানের চাষ হয়েছে। কৃষকের এই উৎপাদিত ফসল নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। উৎপাদিত ফসল কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারলে লক্ষ্যমাত্রার চেযয়ে অনেক বেশি উৎপাদন হবে। 

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান প্রাকৃতিকভাবে যদি কোন ক্ষয়-ক্ষতি না হয়। তাহলে অত্র উপজেলার কৃষকেরা বোর উৎপাদনে অনেক বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারবে। 

এতে কৃষকের লাভবান হবে দেশের খাদ্য চাহিদায় সহায়ক হবে। উল্লেখ্য এ বছর বোর চাষে ব্যয় হয়েছে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ। 

অর্থাৎ প্রতি একরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যদি ধানের বাজার ভালো থাকে তাহলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে। আর যদি ধানের বাজার কমে যায় তাহলে কৃষক ক্ষতির মুখে পরবে। 

বর্তমানে বোর নতুন ধান প্রতি মণ ১ হাজার  থেকে ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। মোটা ও চিকন ধান অনুযায়ী প্রকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।


এমএইচআর