ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম
ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মমতাজ, হাকিম মেম্বার, ফারুক টিপুসহ সব আসামিদের বিরুদ্ধে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ৫ম আদালত (সি আর মামলা নং ২২৩/২৩, চন্দনাইশ থানা) এই আদেশ দেন। সিনিয়র এডভোকেট আবুল কালাম শামসুদ্দিন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বজলুর রশিদ মিন্টুসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বাদীর পক্ষে মামলা শুনানি করেন।

মামলার বর্ননা এবং বাদীর আইনজীবীর সূত্রে জানা যায়, গত ৭মে রাত ৯টার দিকে ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চন্দনাইশের নিজ বাড়ীতে আসার পথে শাহ আমানত (কর্নফুলী নতুন ব্রীজ) এর টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ রোকন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আবু আহমেদ জুনুর নেতৃত্বে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফিল্মি কায়দায় ভিক্টিমের গাড়ী আটকে হামলা করে মারধর করার পর গাড়ীসহ জোর করে ধরে নিয়ে যায়। বাদীকে অপহরণের পর চোখ বেঁধে জীবননাশের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে আমিন আহমদ রোকনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে নিয়ে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। রোকন চেয়ারম্যান ও আবু আহমেদ জুনুসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মমতাজ, হাকিম মেম্বার, ফারুক টিপু সহ আরো অনেকে মিলে বাদীকে বেধড়ক মারধর করে। চেয়ারম্যানের খুন ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, পাহারকাটা সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবননাশের হুমকি দেয়।

বাদীর আইনজীবী বলেন "আত্মীয় স্বজনরা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক তৎপরতা শুরু করায় অপহরণ কারীরা বাদী আজাদকে মেরে ফেলতে পারেনি। পুলিশ আসার খবর পেয়ে  সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এছাড়াও কর্ণফুলী টোল প্লাজায় ফিল্মি কায়দায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অপহরণ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ কয়েকটি জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারের পর তোলপাড় শুরু হয়। আমিন আহমেদ রোকন ইতিপূর্বে ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণ, জমি দখল, অবৈধ ইটভাটায় অবাধে পাহাড়ি জমি ধ্বংসের একাধিক মামলার আসামি। সম্প্রতি গৃহকর্মী রুনাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা প্রকাশের পর তা ধামাচাপা দিতে রোকন ও তার সঙ্গী আবু আহমেদ গংরা আরো বেপরোয়া হয় পরে।

এআরএস