নান্দাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ভবনের মালামাল লুট

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
নান্দাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ভবনের মালামাল লুট

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পরিত্যক্ত এক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মালামাল খুলে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। অথচ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুশীল সমাজের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

এতে একদিকে যেমন সরকারি মালামাল লুটপাটের অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে লোকজন, তেমনি অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি আধাপাকা ভবনের মালপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন। খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। এর পুরোনো পাকা ভবনের চালা ফ্ল্যাটবার (মোটা লোহার পাত) দিয়ে টিন লাগানো ছিল। ২০০৫ সালের দিকে একমাত্র ভবনটি পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়ে। 

নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিদ্যালয়টির মাঠের উত্তর পাশে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে। নতুন ভবনে পাঠদান শুরু হওয়ার পর থেকে পুরোনো ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সুষ্ঠু তদারকির অভাবে স্থানীয় লোকজন খুলে নিতে শুরু করে ফ্ল্যাটবারসহ চালার টিন। ওয়ালে থাকা ইট খুলে নেওয়ায় ভবনের কাঠামোটি এখন পিলারের ওপর ভর করে কোনোক্রমে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘ ৯-১০ বছর ধরে ভবনটি এভাবে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। সময়মতো সেটি বিক্রি করলে সরকার কিছু টাকা পেত। এখন বিক্রি করলেও কেউ নেবে না। ভবনটি ধসে পড়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন জানান, পরিত্যক্ত ভবনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কয়েকবার ম্যানেজিং কমিটির রেজ্যুলেশনসহ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কী করছেন– সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। 

এ বিষয়ে  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছা বেগম সাথের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভবনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেউ দরখাস্ত দিয়েছেন কিনা ? বা কবে দিয়েছেন ? তা এই মুহূর্তে মুখস্থ বলতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে বলব, তিনি যেন অফিস খোলার দিন এসে দেখা করেন।’

আরএস