পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, জরিমানা ও বাল্কহেড জব্দ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম
পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, জরিমানা ও বাল্কহেড জব্দ

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ ভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার অন্তরমোড় এলাকা থেকে ৬টি বালু বোঝাই বাল্কহেড জব্দ ও ৬জন সুকানিকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরবর্তীতে আদালত ওই ৬ জন সুকানির কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করার পাশাপাশি বালু উত্তোলন ও পরিবহণ করবেনা মর্মে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।

জব্দ করা বাল্কহেড গুলো হল, মোঃ গাজিবুদ্দিন সরদারের ইয়া গাউস, জুয়েল গাজির মায়ের দোয়া-১, কবির জমাদ্দারের জেরিন সুলতানা, জামাল হোসেনের এসএম আদী, মো. রাহুল সরকারের মক্কা মদিনা ও মোঃ জিলাল মোল্লার মায়ের দোয়া বাল্কহেড।

জানাগেছে, পদ্মা নদীর রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কলাবাগান এলাকা থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করা হচ্ছে। এর অপরাধে বুধবার দুপুরে জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের অন্তারমোড় থেকে ৬ টি বালু বোঝাই বাল্কহেড জব্দ করার পাশাপাশি ৬ জন চালক (সুকানি) কে  আটক করে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত ভ্রাম্যমান আদালত। আটকের পর তাদের বৈধতা আছে কি না তা দেখতে সুকানিদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই বাল্কহেড গুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে পাবনার মেসার্স নাইম এন্ড কাইয়ুম এন্টার প্রাইজের প্রেপাইটার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমি বৈধ ভাবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত পদ্মা নদীর রাজবাড়ী সদর উপজেলার জৌকুড়া
ঘাটের অদূরে পাবনা জেলার সীমান্ত থেকে বালু উত্তোলন করেছি। দরপত্রের মেয়াদ শেষ হবার পর আর বালু উত্তোলন করা হয়নি। তবে আমার ব্যবহৃত বালুর টোকেন বই চুরি করে নিয়ে কতিপয় ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ওই টোকেন ব্যবহার করছে। যা সম্পূর্ণ রুপে অপরাধ। ওই সব অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবীও জানান তিনি।
মায়ের দোয়া বাল্কহেডের  চালক (সুকানী) জিলাল মোল্লা বলেন, আমাদেরকে নদীতে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে খবর দেয়, রাজবাড়ীর দিপক কুন্ডু ও টুকু মিজি। আমরা কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কলাবাগান এলাকা থেকে বালি নিয়ে রাজবাড়ীর অন্তারমোড় পর্যন্ত আসলে স্থানীয়রা আমাদের নদীর পাড়ে থামাতে বলে। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসে আমাদের আটক করে, বাল্কহেড গুলো জব্দ করে।

এ বিষয়ে মিজানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টুকু মিজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চার বছর আগে বালু ব্যবসা বাদ দিয়েছি। আর যে বলেছে আমি তাদের ডেকে এনেছি তাকে জিজ্ঞেস করেন সুকানী আমাকে চিনে কিনা।

তবে এ বিষয়ে দিপক কুন্ডুকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের  খবর পেয়ে অন্তরমোড় এলাকায় গিয়ে ৬টি বালু বোঝাই বাল্কহেড জব্দ করি। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও এ বালু উত্তোলন ও পরিবহন থেকে বিরত থাকতে মুচলেকা প্রদান করে।

আরএস