মঠবাড়িয়ায় ১৫ খড়ের গাদায় আগুন, কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
মঠবাড়িয়ায় ১৫ খড়ের গাদায় আগুন, কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ছবি: আমার সংবাদ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ১৫টি খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এতে ওই সকল গ্রামের বিভিন্ন কৃষকের গো-খাদ্য সংকটের পাশাপাশি স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর উপজেলার কচুবাড়িয়া, ভাইজোড়া ও মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা আগুন নিভিয়ে ফেললেও গো-খাদ্যগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া শনিবার (১৩ জানুয়ারি) মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন- কচুবাড়িয়া হোসেন খলিফা, হাবিব হাওলাদার, আবদুল মালেক হাওলাদার, আবদুস সাত্তার হাওলাদার, সোহরাব খান, ভাইজোড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, মানিকখালী গ্রামের আবদুল মান্নান ফকির ও মো. জাহাঙ্গীর খানের একটি করে খড়ের গাদা পুড়ে যায়। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর খানের পাকা ঘরের আংশিক ও কচুবাড়িয়া গ্রামের মন্টু চৌকিদারের রান্নাঘরের কিছু অংশ। এছাড়াও সাপলেজা গ্রামের আশরাফ আলীর একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে গেছে।

মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহেল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা সাতটি খড়ের গাদার আগুন নেভাই। আমরা ১২টি খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার তথ্য পেয়েছি। আগুনে খড়ের গাদাগুলো ভষ্মীভূত হয়েছে।

কৃষক দেলোয়ার হোসেন খলিফা বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলেন। এরপর দেখি খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে। কারা আগুন দিয়েছে তা বলতে পারছি না।

রুস্তম আকন বলেন, আমার খড়ের গাদা আগুনে পোড়ার গন্ধ পেয়ে আমার মেয়ে আমাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। এরপর আমি ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই।

আজিজুর রহমান বলেন, কচুবাড়িয়া গ্রামের সড়কের পাশে থাকা বাড়িগুলোর খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাশের দুটি গ্রাম ভাইজোড়া ও মানিকখালীতেও খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়। গ্রামে কৃষক মতিউর রহমান হাওলাদারের খড়ের গাদা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল গুলো পরিদর্শণ করা হয়েছে। আগুন দেওয়ার ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। তবে এগুলো নাশকতার কোনো ঘটনা নয়।

এআরএস