অযত্ন অবহেলায় দশমিনায় নৌ-এ্যাম্বুলেন্স

দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
অযত্ন অবহেলায় দশমিনায় নৌ-এ্যাম্বুলেন্স

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের জরুরী ও গর্ভবতী মা’য়েদের পরিবহনের সুবিধার্থে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হয়ে হচ্ছে। দীর্ঘ ৩বছরেও নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি চরাঞ্চলের কোন জরুরী রোগীকে পরিবহন করতে পারেনি। চরাঞ্চলের মানুষ জানেন না তাদের জরুরী সেবার জন্য নৌ-এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার দাবী নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখার চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সাজু এমপি’র আবেদনে দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ও গর্ভবতী মায়েদের পরিবহনে ২০২০সালের ১৪জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে স্বাস্থ্য কসপ্লেক্সে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একটি অত্যাধুনিক নৌ-এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের ৩বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো কোন চরাঞ্চলের রোগীকে পরিবহন করতে পারেনি এ্যাম্বুলেন্সটি।

এবিষয়ে যোগাযোগ বিছিন্ন চর-বোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজির আহমেদ সরদার জানান, চরাঞ্চলের জরুরী রোগী পরিবহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নৌ-এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন সেটা আমাদের জানা নেই। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমি জানিনা জরুরী সেবার জন্য নৌ-এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে আর ইউনিয়নের জনগন জানবে কিভাবে।

এবিষয়ে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের জানা নেই জরুরী সেবার জন্য দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৌ-এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার পর চরাঞ্চলের মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরো জানান, তৈল খরচ বেশি বলে চরাঞ্চলের মানুষ নৌ-এ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য নিচ্ছেন না। তাই কোন রোগীকে পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি জানান, স্বাস্থ্য সেবার কাজে তেতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলে যেতে দুই একবার নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সাজু এমপি জানান, এত জনগুরুত্বপূর্ন একটি নৌ-এ্যাম্বুলেন্স কেন ৩বছরেও বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

এইচআর