নাব্যতা সংকটে বন্ধের পথে বিএডিসির সেচ প্রকল্প

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
নাব্যতা সংকটে বন্ধের পথে বিএডিসির সেচ প্রকল্প

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাথা ভাঙ্গা নদীতে পানি না থাকায় ১০ সহস্রাধিক কৃষক বাড়তি সেচ খরচ মেটাতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ।

চলতি মৌসুমে প্রায় সহস্রাধিক টন ধান উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা করছে। স্থানীয়রা মাথাভাঙ্গা নদী খননের দাবি জানিয়েছেন।

মাথাভাঙ্গা নদীর উৎপত্তি মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির উৎস থেকে আনুমানিক ১৬ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মহিষকুন্ডি গ্রামের পদ্মা নদী অংশ থেকে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী এবং জলঙ্গী হয়ে বৃষ্টির মিষ্টি জল সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এটি শিকারপুর, করিমপুরের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তরেখা। এই মিষ্টি জল বহমান নদীটি এখন মৃতপ্রায়।

পানির অভাবে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের ১০টি পাওয়ার পাম্পের দুটি পাম্প প্রায়ই বন্ধের পথে। নদীতে পানির অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে দুটি পাওয়ার পাম্প। নাব্যতা সংকটে কৃষকেরা জমিতে সেচ দিতে পারছে না। নদী শুকিয়ে গেছে তীব্র দাবদাহের কারণে।

কৃষকরা জানায়, গভীর কিংবা অগভীর নলকূপ থেকে ভূগর্ভস্থ পানি সেচকাজে ব্যবহার করলে একরপ্রতি তাদের জ্বালানি খরচসহ লাগে ৮-১০ হাজার টাকা। বিপরীতে প্রকল্পের পানিতে একরে সেচ খরচ ২ হাজার টাকার মতো। কৃষি বিভাগের হিসাবে প্রকল্পের অধীনে দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর, আদাবাড়ীয় ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার কৃষক এর সুবিধাভোগী। তারা নামমাত্র খরচে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পেয়ে আসছিল। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ যেমন কমত, তেমনি গড়ে ৭০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হতো।

কৃষকরা প্রতি বোরো মৌসুমে  প্রায় ৩০ হাজার টন ধান উৎপাদন করে আসছিল, যা এখন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা ।

প্রকল্প ম্যানেজার ফারুখ হোসেন জানান- রাতভর ঝর্ণার পানি জমা করে পর দিন ২-৩ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে। মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা জমিতে সেচ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাতে ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আলী আশরাফ বলেন, কৃষকরা জানিয়েছেন যে, তারা জমিতে সেচ পাচ্ছে না। যেহেতু মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি নাই স্থান বিশেষ শুকিয়ে গেছে। নদীটা আমরা পরিদর্শন করে দ্রুত খননের ব্যবস্থা করবো।

ইএইচ