বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আলু চাষিরা বীজ আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও পরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—বিএডিসি আলু বীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন মিলন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান রুমেল, জেলা কৃষক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন এবং আলু বীজ চাষি আবুল কালাম।
চাষিরা জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএডিসির কাছ থেকে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে আলু উৎপাদন করেছেন। উৎপাদিত আলুর মূল্য পেয়েছেন কেজিপ্রতি মাত্র ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা, যেখানে বাজারে সেই আলুর দর ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বিএডিসির সঙ্গে চুক্তির বাধ্যবাধকতার কারণে তারা বাজারে আলু বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অথচ বিএডিসি এতে বিপুল লাভবান হয়েছে।
চাষিরা আরও বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভিত্তি বীজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি। উচ্চমূল্যের বীজ, সার ও কীটনাশকের ব্যবহারে উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চলভেদে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অথচ কিছু জোন থেকে উৎপাদন খরচের যে হিসাব দেখানো হয়েছে তা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এই অসামঞ্জস্যের ভিত্তিতে বিএডিসি এবার আলুর মূল্য নির্ধারণ করেছে মাত্র ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি। ফলে চাষিরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং অনেকেই সর্বস্বান্ত হওয়ার অবস্থায় রয়েছেন।
চাষিরা দাবি করেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আলু বীজের মূল্য অন্তত ৩৭ থেকে ৩৯ টাকা কেজি নির্ধারণ করতে হবে। তাদের দাবি না মানা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইএইচ