লামায় টোব্যাকো অফিসে ডাকাতি: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, লুণ্ঠিত টাকা-অস্ত্র উদ্ধার

আদিল আহামেদ চৌধুরী, লামা (বান্দরবান) প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
লামায় টোব্যাকো অফিসে ডাকাতি: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, লুণ্ঠিত টাকা-অস্ত্র উদ্ধার

বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় কেন্দ্রের অফিসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামি করিমকে আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার তাকে এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে করিমকে সঙ্গে নিয়ে লুন্ঠিত টাকা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

প্রথমে করিমকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। দুই ঘণ্টা মাটি খুঁড়ে তল্লাশি চালালেও সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। 

পরে বিকেল ৩টার দিকে করিম পুলিশকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী সাবেকবিলছড়ি সিলেটিপাড়ায়। সেখানে শুরুতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলেও পুলিশ কৌশল পরিবর্তন করে করিমের বাবার বাড়িতে অভিযান চালায়।

অবশেষে সেখানকার মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত ৭০ হাজার টাকা, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ছয়টি কার্তুজ এবং ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল করিম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ কামরুল আজম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর এনামুল হক, এসআই নরুজ্জামাসহ পুলিশের একটি চৌকস দল।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান আসামি করিম, তার বাবা ওয়াছের আলী, মা আনোয়ারা বেগম এবং স্ত্রী শাকিলা বেগম।

মোট ছয় দফা অভিযানে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫২ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, অস্ত্র এবং ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

অভিযান শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম সাংবাদিকদের জানান, “বান্দরবান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং লামা থানা পুলিশের সমন্বয়ে এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে।” 

তিনি আরও বলেন, জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইএইচ